Monday, December 30, 2013

সাংবাদিকদের পিস্তল দেখালো আ.লীগ কর্মী

 বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর হামলা শেষে অস্ত্র তাক করে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েছে এক আওয়ামী লীগ কর্মী।সোমবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের জুতা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শেষে সুপ্রিমকোর্টের ভেতরে থাকা সাংবাদিকদের জামায়াত-শিবির আখ্যায়িত করে তাদের অস্ত্রের ভয় দেখায় ওই আওয়ামী লীগ কর্মী।

এসময় সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ফটকে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এম এ করিমের নেতৃত্বে আসা মিছিল থেকে কিছু আওয়ামী লীগ কর্মী সাংবাদিকদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক কথা বলে। এসময় সাংবাদিকরা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেন। জবাবে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বলে, ‘তোদের পরিচয়পত্র দেখা, তোরা শিবির।’

Sunday, December 29, 2013

আওয়ামী নেতাদের এ কেমন বর্বরতা!

চরম বর্বর এক ঘটনা ঘটে গেল শিক্ষানগরী রাজশাহীতে। লজ্জা আর অবমাননাকর সেই ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল শত শত মানুষ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বর্বর আচরণের প্রতিবাদের সাহসও ছিল না তাদের। 

'অসম বিয়ের অপরাধে' স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক পেটানোর পর জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হলো এলাকায়। পরে খোলা ময়দানে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হলো সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকায় রবিবার। আওয়ামী লীগ নেতা ্ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নির্দেশে এই ঘৃণ্য বর্বর ঘটনা ঘটায় এলাকার আওয়ামী নেতা-কর্মীরা। 

নিগ্রহের শিকার দুজন হলেন রুবেল হোসেন (২৫) ও নিলুফা বেগম (৪০)। তাঁদের মধ্যে রুবেল হোটেল কর্মচারী আর নিলুফা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। থাকেন ভাটাপাড়া এলাকার একটি বস্তিতে।

না.গঞ্জে পিস্তলসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

না.গঞ্জে পিস্তলসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
শীর্ষ নিউজ ডটকম, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীকে গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তল ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব সদস্যরা।

রোববার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত ফিরোজ হোসেনের ছেলে যুবলীগ নেতা তাসলিম হোসেন (৪৫) ও একই এলাকার সোবহান মিয়ার ছেলে স্বপন শেখ (২৮)।

Saturday, December 28, 2013

আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান, বোমা বানাতেও পারি'


চট্টগ্রাম : আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান,আমিও বোমা বানাতে জানি,আমার চেয়ে বেশি বোমা বানাতে পারবে না কেউ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-৪ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী দিদারুল আলম।

শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড স্কুল মাঠে নির্বাচনী কর্মী সভায় বক্তব্য দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিপুল সংখ্যক র্যাভব পুলিশের প্রহরায় অনুষ্ঠিত বিকাল ৪টার দিকে বাড়বকুন্ড স্কুল মাঠে সভা অনুষ্ঠিত হয়। চলাকালে সভাস্থলের কাছে পর পর চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নেতাকর্মীরা আতঙ্কে পালাতে থাকে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পরে আবার সংগঠিত হয়ে সভার কাজ শুরু হয়।

জামায়াত-শিবিরকে উদ্দেশ্য করে দিদারুল আলম বলেন, দুই/একটি ককটেল মেরে আমাদের মিছিল সমাবেশ বানচাল করা যাবে না। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমিও বোমা বানাতে জানি, আমার চেয়ে বেশি বোমা বানাতে পারবে না কেউ। আমরাও এর উপযুক্ত জবাব দেব।

Monday, December 23, 2013

সাংবাদিক পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা

23 Dec, 2013
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে পিটিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাধবপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পেশাগত কাজে দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ পত্রিকার মাধবপুর প্রতিনিধি রাজীব দেব রায় রাজু উপজেলা কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এরশাদ আলী সাংবাদিক রাজুর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সিনিয়র কয়েকজন সাংবাদিক ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে বাধা দিতে গেলে তার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ ও উপস্থিত জনতা ওই আওয়ামী লীগ নেতার কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্দিউড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী রিয়াদ কর্তৃক কাজের মেয়েকে ধর্ষণ ও আওয়ামীলীগ নেতা আপু মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদকের রিপোর্ট করার পর আওয়ামী লীগ নেতারা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

Sunday, December 22, 2013

ছাত্রলীগের ইভ টিজিংয়ের শিকার ঢাবির ৩ ছাত্রী

ছাত্রলীগের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে অধ্যয়নরত তিন ছাত্রী। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে আহত করা হয় তিন ছাত্রীসহ আরও একজনকে। আহত ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছেন তারা। জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন ছাত্রীসহ তাদের এক বড় ভাই জহুরুল হক হলের সামনে দিয়ে নীলক্ষেত যাচ্ছিলেন।

Friday, December 20, 2013

আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্বে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নিজ মেয়ের মামলা

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মাহবুবইল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম কন্যা ইলিউন এম ইসলাম ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা ও একাধিক জিডি করেছেন। ফারহানা ইসলাম বাদী হয়ে তার স্বামী ড .মাহবুবউল ইসলামের নামে সরাসরি নির্যাতনের মামলা করেন। মামলা নং কাফরুল থানা ৬৫/৫৪৯ তাং ২৯/০৯/০৯.... মামলায় ২জন আসামির মধ্যে ড. মাহবুবউল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার বিবরনে ফারাহানা ইসলাম তার স্বামীকে মাতাল, যৌতুকলোভী, স্ত্রী নির্যাতনকারী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মামলায় স্ত্রী অভিযোগ করেছেন তার স্বামী তাকে নির্যাতন করে তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী খানের কাছ থেকে ৮৫ লাখ টাকা নেন ব্যবসার নাম করে। 

ফারহানা ইসলাম তার নিজ হাতে লেখা আর্জিতে এক স্থানে বলেন তার স্বামী তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে অবৈধ মেলা মেশাও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে। তখন স্ত্রী আপত্তি জানালে তার ওপর আবারও নির্যাতন শুরু হয়। এই ভাবে ড. মাহবুবউল ইসলাম তার শ্বশুরের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একই ভাবে গুলশান থানায় ড. মাববুবুল ইসলামের কন্যা ইলিউনা এম ইসলাম ১১/০৬/২০১১ তারিখে জিডি করেন। জিডি নং ৮৪০ তাং ১১.৬.১১... এই জিডিতে কন্যা ইলিউন এম ইসলাম তার পিতার অবৈধ কর্মকান্ডের বর্ণনা দেন মদ্যপ অবস্থায় তার উপর ধ্বর্ষন চেষ্টার অভিযোগ করেছেন ।স্বামীর এই অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য ফারহানা খান তার স্বামী ড. মাহবুবুল ইসলামকে ৯/০৩/২০১০ সালে তালাক প্রদান করেন।

সাতক্ষীরার বাজারে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা, লুটপাট

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা বাজারে আজ বিকালে ও আগের রাতে দু’দফায় বেশ কয়েকটি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে অগ্নিকান্ডের ঘটনাও। জামাত নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের শতাধিক ক্যাডার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গতকাল বিকালে নলতা বাজারে হামলা করে । এ সময় তারা বেশ কিছু দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকালে ও বৃহস্পতিবার রাতের এই হামলায়  শতাধিক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডার হকিস্টিক, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, হাত বোমা নিয়ে নলতা বাজারে হামলা করে লুটপাট চালায়। এতে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. মোসলেম উদ্দীন বলেন, ১০/১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এছাড়া শাহি বস্ত্রালয় ও মোড়ল স্টোর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে শাহি বস্ত্রালয়-এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ দাবি করেন।

মেহেরপুরে যৌথবাহিনীর শ্বাসরুদ্ধকর ৫ ঘণ্টার অভিযান

রাজনগর, শেখপাড়া ও হিজুলী গ্রামে ৫ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। গতকাল ভোর ৫টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়ে চলে সকাল দশটা পর্যন্ত। অভিযানের শুরুতে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা রাজনগর, শেখপাড়া, হিজুলীসহ আশেপাশের গোটা এলাকা ঘেরাও করে। কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের বাড়ি বাড়ি চিরুনি অভিযান চালায়। এতে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। শেখপাড়ার আসকার আলীর স্ত্রী সেহেরা খাতুন জানিয়েছেন, অবিরাম গুলির শব্দে তাদের ঘুম ভাঙে। আতঙ্কে শিশুদের নিয়ে ঘরের এক কোণে পড়ে থাকেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কয়েকজনকে আটক করে। গুলির বিষয়ে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযানকালে জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। অভিযানের সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনী অবরোধকারী সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ৩

অশান্ত সাতক্ষীরা। ঘটেছে গুলির ঘটনা। এ সময় পুলিশের গুলি ও জামায়াত-শিবিরের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩ জামায়াতকর্মী গুলিবিদ্ধসহ এএসপি মনিরুজ্জামানসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে। আটককৃতরা হলেন জেলা শহরের রইচপুর এলাকার আলমগীর হোসেন (৩০), আশরাফুল সরদার (২৫), শাহিন সরদার (২৫), আবুল হোসেন (২৬), শওকত আলী সরদার (৩৩), আমিনুর রহমান লাভলু (৪০)। পুলিশ গুলিবিদ্ধ লাভলুকে  সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি  করেছে। গুলিতে লাভলুর বাম পা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডাক্তাররা তা কেটে বাদ দিয়েছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আটককৃতদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১৫ই ডিসেম্বর রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত ৪ দিনে যৌথবাহিনী মোট ৪৮ জন জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর সদস্যরা বুলডোজার নিয়ে জেলা সদরের রইচপুরে অভিযান চালায়। এর আগেই যৌথবাহিনীর বুলডোজার অভিযানের খবর পেয়ে এলাকায় প্রবেশের বেশ কয়েকটি সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও রাস্তা কেটে সড়ক অবরোধ করা হয়।

Monday, December 16, 2013

রহস্যময় পরিবহন 'বিহঙ্গ'

ঘটনা ১|
২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর শাহবাগে একটি বাসে পেট্রল বোমা থেকে আগুন ধরে যায়।এতে ১৬ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও ২ জন নিহত হয়।
পুড়ে যাওয়া বাসটি হচ্ছে 'বিহঙ্গ পরিবহন্ִ

ঘটনা ২|
২০১৩ সালের ৩ মার্চ,জামায়াতের হরতালে শেওলাপাড়া আর আল-হেলাল হাসপাতালের সামনে বাসের ভিতর থেকে ককটেল মারা হয়।
পুলিশ অনুসন্ধান করে জানায় বাসটি ছিল,'বিহঙ্গ পরিবহন্ִ

ঘটনা ৩|
২০১৩ এর ৬ জুলাই,খালেদার গাড়ীকে ধাক্কা দিতে চেষ্টা একটি বাস।
অনুসন্ধানে জানা যায় বাসটি ছিল,'বিহঙ্গ পরিবহন্ִ

বিশেষ অভিযান শুরু, জামায়াতকে ছাড় দেয়া হবে না : টুকু


স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, জামায়াতে ইসলামকে  কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। এরই মধ্যে সারা দেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। 
টুকু বলেন, খালেদার জিয়ার উস্কানিতে বিরোধী দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যাতে কার্যকর না হয় এজন্য তারা উঠে পরে লেগেছে। এসময় নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরষ্কৃত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযান, গুলিতে নিহত ৫

সাতক্ষীরার সদর ও দেবহাটা উপজেলায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে যৌথবাহিনীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আগরদাড়ী গ্রামে আসামি ধরতে র‌্যাব, পুলিশ এবং বিজিবি এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশের গুলিতে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামের এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছে। অপরদিকে একই সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ও সাতরা এলাকায় ৩৮ বিজিবি’র সিও লে. কর্নেল ইমাম আহসান এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী আসামি ধরতে গেলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে ককটেল, বোমা ও ইট ছুড়তে থাকে। এসময় যৌথ বাহিনী গুলি চালালে সখিপুর গ্রামের আব্দুর রউফ (৩২), সিরাজুল ইসলাম (৩৫) সহ ৪ জন জমায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়াও অভিযানে কলারোয়া উপজেলা থেকে তিন জন এবং  দেবহাটা উপজেলা থেকে ছয় জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ৫ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

Sunday, December 15, 2013

পাটগ্রামে সংঘর্ষে দুই শিবির নেতাসহ নিহত ৫

লালমনিরহাট: জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের শুরুতেই জেলার পাটগ্রামে পুলিশের গুলিতে উপজেলা শিবির সভাপতি ও পৌর শিবির সেক্রেটারিসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় বুড়িমারী স্থলবন্দর আঞ্চলিক মহাসড়কের সরোয়ার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তমিরউদ্দিনের ছেলে উপজেলা শিবির সভাপতি মোমিনুল ইসলাম (২৫), পৌর শিবির সেক্রেটারি সাজু মিয়া (২২) এবং করম আলীর ছেলে শিবিরকর্মী আবদুর রহিম (২২)।

এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় মিন্টু নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে শিবির কর্মীরা। আর গুলি ও ককটেলের শব্দে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে সরোয়ার বাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোঁড়ে।

এ সময় পুলিশ শটগানের গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই শিবিরকর্মী আবদুর রহিম নিহত হন। মোমিনুলকে হাসপাতালে নেয়ার পথে এবং রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাজু।

আর সংঘর্ষের একপর্যায়ে শিবির কর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মী মিন্টুকে পিটিয়ে হত্যা করে পাটগ্রাম রেলস্টেশনে লাশ ফেলে যায়।

এ ঘটনার পর থেকে পিকেটাররা আঞ্চলিক মহাসড়কের আট কিলোমিটার এলাকা গাছ কেটে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের বাড়িতে হামলা করে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও উপজেলা জামায়াতে সেক্রেটারি ও এক বিএনপি নেতার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পিকটারদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি এবং ৪৭ রাউন্ড শটগানের গুলিবর্ষণ করে।
http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/4/75026#.Uq5hGPRdWSo

র‌্যাব-পুলিশের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ

16 Dec, 2013
প্রকাশ্যে র‌্যাব-পুলিশের সাথে সাদা পোষাকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সশস্ত্র আক্রমণ বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে র‌্যাব-পুলিশের সাথে প্রকাশ্যে যেভাবে অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেছে তাতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখল-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চার শতাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ ও সোনাইমুড়ীতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে শিবিরের আট কর্মী নিহত হয়। শুক্রবার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর বাজারে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা শিবির কর্মীদের ওপর প্রকাশ্য গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে শিবির কর্মী ও স্থানীয় আমিশাপাড়া মাদরাসার ছাত্র হাফেজ জোবায়ের হোসেন (১৯) মারা যান এবং আট শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এ পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। দলের ভেতর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সায়েস্তা করতে আরো উস্কে দেয়া হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকা যেতে পারছেন না সেখানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে র‌্যাব-পুলিশের শেল্টারে সশস্ত্র অবস্থায় মাঠে নামিয়ে দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই হবে না বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী না করে তাদের আইন-শৃংখলা ভঙ্গকারী হিসাবে দেখতে হবে। সংঘর্ষের যে ঘটনাগুলো এতদিন ঘটে আসছে, সেগুলোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি এমন হতো না।

দেখামাত্র গুলি করতে বাধ্য হবে পুলিশ’....ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা মানুষ হত্যা, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা যদি এগুলো বন্ধ না করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দেখামাত্র গুলি করতে বাধ্য হবে।

রোববার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত  ‘হরতালের নামে সারাদেশে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক আলোচন সভায় তিনি এ কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “পৃথিবীর কোথাও এমন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন হয় না। তারপরও বিরোধী দল বার বার বলেছে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হচ্ছে না। তাদের বাঁচাতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।”

বিচারপতির বাড়িতে হামলার সময় ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩

 প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সেনবাগ উপজেলা কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতিকালে পেট্রোল বোমাসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসআই শাহজাহানের নেতৃত্বে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আটক করে সেনবাগ থানা পুলিশ।

হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ার সময় যুবলীগ নেতা আটক

 সাতক্ষীরার দেবহাটায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পালানোর সময় এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

আটককৃত যুবলীগ নেতা আব্দুল গাফফার জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে সে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সে তার আরো তিন সহযোগীর নাম পুলিশকে জানান।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় মুখোশধারী ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত সুনীত সরকারের বাড়িতে আগুন দেয়।

Saturday, December 14, 2013

ভয়ানকভাবে বেড়েছে গুম : গুপ্ত বাহিনী সক্রিয়, এক মাসে ৩০০ জন গায়েব

15 Dec, 2013
ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গুমের ঘটনা। রাজনৈতিক ডামাডোলের আড়ালে এসব ঘটনা চাপা পড়ে যাচ্ছে। যারা গুম হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের কর্মী। বাদ যাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও। গতকাল স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলন বলেন, সারাদেশে গত এক মাসে ১৮ দলীয় জোটের তিন শতাধিক নেতাকর্মী সাদা পোশাকধারী ও র্যাবের পোশাক পরা কিংবা ডিবি পরিচয়দানকারী লোকদের হাতে গ্রেফতার হয়ে গুম এবং নিখোঁজ হয়েছেন। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম খান অপর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার দেশকে গুমরাজ্যে পরিণত করেছে। ওই সংবাদ সস্মেলনে তিনি হওয়া একত্রিশ জন কর্মী এবং সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন-এসব গুপ্ত বাহিনী কার নিয়ন্ত্রণে? একটি দক্ষ পেশাদার বাহিনীর নাম ও পোশাক পরে কিভাবে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ও গর্হিত কাজ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব কার? তিনি গুম অপহরণ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিয়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এসব গুম-নিখোঁজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বিগত কয়েক দিনে গুমের কয়েকটি ঘটনা নমুনা হিসেবে পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি।

কোম্পানীগঞ্জ এবং নীলফামারীতে গুলি ও সংঘর্ষে নিহত ১৪ : মিছিলে গুলিতে কোম্পানীগঞ্জে নিহত ৮ : আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা ও সংঘর্ষে নীলফামারীতে নিহত ৬

নোয়াখালী ও নীলফামারীতে নিরাপত্তা বাহিনীর নজিরবিহীন গুলি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে গতকাল। এ দুই জেলায় পুলিশ ও র্যাবের গুলিতে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আজকের হরতালের সমর্থনে বের করা শিবিরের মিছিলে র্যাব-পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে আট শিবিরকর্মী নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শতাধিক। হামলায় সশস্ত্রভাবে অংশ নেয় যুবলীগ ক্যাডাররা।
এদিকে নীলফামারী সদরে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহর থেকে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ৬ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে জামায়াত, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন কর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় তাত্ক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গতকালের এ দুটি ঘটনা সাম্প্রতিককালে বিরোধী দলের নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনের ভয়াবহতম উদাহরণ। এর আগে একই স্থানে এতসংখ্যক নেতাকর্মীর নিহতের ঘটনা বিরল। গত দেড় মাসে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরাসরি গুলিতে নিহতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে গেল। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত :

কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের গুলিতে ৮ শিবিরকর্মী নিহত
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পুলিশের নির্বিচার গুলিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অন্তত আট শিবিরকর্মী নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে শতাধিক নেতাকর্মী। কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে দেশব্যাপী জামায়াতের আজকের হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হলে উপজেলার বসুরহাটে এ ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে আজ নোয়াখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে শিবির।
এদিকে নিহতের খবর জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। আগুন দেয়া হয় ১০টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। একইসঙ্গে ভাংচুর করা হয় ২৫-৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে ঘটনার পর ব্যাপক তাণ্ডব চালায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। তারা সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ মডেল হাইস্কুল ও কোম্পানীগঞ্জ কেজি স্কুল আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসুরহাটে জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা গতকাল বিকালে আজকের হরতালের সমর্থনে কোম্পানীগঞ্জ মডেল হাইস্কুল ও কেজি স্কুল রোড থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার মসজিদের সামনে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত কিছু নেতাকর্মী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে আট শিবিরকর্মী নিহত হয়। পুলিশের সঙ্গে এক পর্যায়ে হামলায় যুবলীগ ক্যাডাররাও আগ্নেয়াস্ত্রসহ অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
গতরাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় নিহতরা হলো—বামনীর নুর ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪), সিরাজপুর ইউনিয়নের চাঁড়াভিটির সফি উল্যাহর ছেলে রাসেল (২৩), বসুরহাট পৌর এলাকার নয়ন হাজী বাড়ির আবদুল রহমানের ছেলে সজীব (২৩), রায়হান (২৪) ও আবদুস সাত্তার (২৪), মতিউর রহমান (২২), রফিক (১৯)। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
থানায় পুলিশ হেফাজতে তিনজনের মৃতদেহ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে তারা সর্বমোট মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এছাড়া এ ঘটনায় আহতদের গোপনে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
একই ঘটনায় শিবিরকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে বশির, রাসেল ও রাজু নামে তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস, বিআরডিবি ভবন, পোস্ট অফিস, সহকারী স্যাটেলমেন্ট অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস, আনছার অফিস, উচ্চ মাধ্যমিক ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসে আগুন দেয়া হয় বলে জানা গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়াও শিবির কর্মীরা ২৫-৩০টি দোকানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হয় বলে জানা গেছে। এ সময় পুলিশ ৮/১০টি ককটেল উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অভিযোগ করেন, শিবির ক্যাডার হেলাল প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নোয়াখালী পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান পিপিএমের নেতৃত্বে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার যৌথ অভিযান অব্যাহত রাখে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান পিপিএম জানান, শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ শিবিরের ২০/২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশও রয়েছে ঘটনাস্থলে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে ছাত্রশিবির। শিবিরের নোয়াখালী শহর সভাপতি নেয়ামত উলল্গাহ শাকের হরতাল আহবান করেন।

নীলফামারীতে পুলিশের গুলিতে নিহত ৬
নীলফামারীতে আওয়ামী লীগ এমপি আসাদুজ্জামান নুরের গাড়ি বহর থেকে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ৬ জন মারা গেছেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে তিন ঘণ্টা ধরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৮ দলে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে দু’পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন জামায়াত কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি খোরশেদ ও যুবলীগ কর্মী ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীর বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে স্থানীয় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ফলে অন্তত ৪০টি দোকান ভস্মীভূত করা হয়। গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর একটি গাড়ি বহর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে তারা রামগঞ্জ বাজার দিয়ে জেলা সদরে ফেরার পথে নূরের গাড়ি বহরে থাকা কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী স্থানীয় গোলাম রব্বানী নামে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। তাত্ক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সরকারি দলের সঙ্গে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব এসে যোগ দেয়। তারা শত শত রাউন্ড টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দু’-ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ৪০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ ৬ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের মধ্যে জেলা সদরে জামায়াতের জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মন্টুর একটি ওষুধের দোকান ও তার একটি মোটরসাইকেল শোরুম ভেঙে লুট করে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের লোকজন। এ ঘটনায় শহর জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
ভাংচুর ও লুটপাটের ছবি তুলতে গিয়ে যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধির ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে যুবলীগ কর্মী মোজাফফর হোসেন। এছাড়া সদরের বাদিয়ার মোড়, জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

লক্ষ্মীপুরে বাসার ছাদে জামায়াত নেতা : ডা. ফয়েজকে নৃশংসভাবে হত্যা, র্যাবের ভয়াবহ বর্বরতা

লক্ষ্মীপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বর্বরতা দেখিয়েছে র্যাব। নিজ বাসার গেট ভেঙে প্রবেশ করে এক ডাক্তারকে ছাদে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। নিহত ডা, ফয়েজ আহমদ লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। এ ঘটনায় ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন ছাড়াও ঘটনার শত শত প্রত্যক্ষদর্শী থাকলেও র্যাব ডা. ফয়েজকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছে। ডা. ফয়েজ হত্যার বিষয়ে র্যাবের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। ডা. ফয়েজ হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। 

চলতি বছরে ঢাবির ১৫০ শিক্ষার্থীর হাত-পা ভেঙেছে ছাত্রলীগ : নির্যাতনে সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন

চলতি বছরে বিরোধী মতাদর্শী হওয়ার কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তাদের এ হিস্রতা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষক, কর্মকর্তারাও। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ পাশবিক নির্বাচন ও অত্যাচারের শিকার হয়ে পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। পঙ্গুত্বের অভিশাপকে আজও বহন করেন তারা। ছাত্রলীগ নামধারী এ সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি। কেড়ে নেয়া হয়েছে তাদের এসএসসি, এইচএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। লুট করা হয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানিব্যাগ।
বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা চাইলেও তা পায়নি শিক্ষার্থীরা। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অত্যাচারী ছাত্রলীগের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে প্রশাসন। 

Thursday, December 12, 2013

শিবিরকর্মীদের ওপর অর্থমন্ত্রীর সাবেক এপিএসের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ

পুলিশ ও র্যাবের স্টাইলে এবার শিবির কর্মীদের ওপর গুলি চালালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাবেক এপিএস আ শ ম রাশেদ। এতে ২ শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সিলেট শহরের রায়নগর এলাকায় রাশেদের বাসার সামনে গতকাল এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিলেটে গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছিল ছাত্রশিবির। নগরের রায়নগর এলাকায় হরতালের পিকেটিং শেষে শিবিরের একদল কর্মী বেলা দেড়টার দিকে রাশেদের বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রাশেদ ও তার বড় ভাই ইরফান আহমদ দুটি পিস্তল নিয়ে শিবির কর্মীদের ওপর অতর্কিতে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। এতে কামরুল ও সায়েম নামের শিবিরের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।

Tuesday, December 10, 2013

চুয়াডাঙ্গায় নিজেদের পেট্রল বোমায় দগ্ধ ৬ আ.লীগ কর্মী

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে জামায়াত নেতার দোকানে হামলা করতে গিয়ে নিজেদের ছোড়া পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়েছে ৬ আওয়ামী লীগ ক্যাডার। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধরা হলো- হাপানিয়া গ্রামের ইসমাইল মণ্ডলের ছেলে খোকন, গোলাম মোস্তাফার ছেলে আতিউল্লাহ, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইনতাবুল হক, খোয়াজ আলীর ছেলে মিনারুল, ইয়াজ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে হাসিবুল ও একই গ্রামের ইদু মণ্ডলের ছেলে আবদুল গফুর।
স্থানীয় একাধিক সূত্র, যে দোকানটিতে পেট্রল বোমা হামলা চালানো হয়েছে, সেটির মালিক স্থানীয় জামায়াত নেতা বেল্টু মণ্ডল। 

Saturday, December 7, 2013

পেট্রোল বোমা তৈরিকালে জ্বলসে গেছে ৪ যুবলীগকর্মী

lig
ফেনীর মোটবীতে আজ বিকেলে পেট্রোল বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে আহত যুবলীহকর্মী রিপন ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি পরিত্যাক্ত মুরগির খামারে আজ শনিবার বিকেলে পেট্রোল বোমা তৈরিকালে ঝলসে গেছে চার যুবলীগকর্মী। এর আগে শহরের সহদেবপুরে বোমা তৈরির সময় জাহিদ নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে উত্তর লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নিপুলের পরিত্যক্ত মুরগীর খামারে পেট্রোল বোমা তৈরি করছিল কয়েকজন যুবলীগকর্মী। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ বিষ্ফোরণে বোমার কারিগরদের মুখমণ্ডলসহ পুরো দেহ ঝলসে যায়।

Thursday, December 5, 2013

ফেনীতে শিবিরের মিছিল থেকে নাশকতাকারী যুবলীগ কর্মী আটক

 
অবরোধের ৩য় দিনে ফেনীতে শিবিরের মিছিল থেকে সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরে ইট নিক্ষেপ করে নাশকতাকারী এক যুবলীগ কর্মী। ঘটনাস্থলে ওই যুবলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রশিবির। আলোকিত বাংলা। গত সোমবার শহরের এসএসকে রোডের পাঠানবাড়ী রাস্তার মাথা থেকে মিছিল বের করে শিবির। মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রামের মহিপাল প্রদক্ষিণ করলে মিছিলে ছদ্মবেশে থাকা যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। এ সময় শিবির কর্মীরা তাকে হাতে নাতে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃত জাহাঙ্গীর আলম ফেনী সদরের পাছগাছিয়া ইউনিয়নের শফিকুর রহমানের ছেলে। জানা যায় সে যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। স্থানীয় পত্রিকা আলোকিত বাংলা খবরটি প্রকাশ করে।
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=133651

Tuesday, December 3, 2013

বগুড়ার শাজাহানপুরে যুবলীগ নেতার অত্যাচারে এলাকা ছাড়ছে হিন্দুরা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে এক যুবলীগ নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদের ওপর নিয়মিত নির্যাতন করছে যুবলীগ নেতার ক্যাডার বাহিনী। হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হাজির হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আব্দুর রউফ ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন যাবত শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম কর্মকার পাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে।