১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার। সেই বৈরী সময় তৎকালীন সরকারকে ১৭ এপ্রিল গার্ড অব অনার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে মুজিবনগর সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এ কারণে তাকে স্বাধীনতার সম্মানসূচক বীর বিক্রম খেতাবও দেওয়া হয়। পরে তিনি যোগ দেন সরকারের প্রশাসন বিভাগে। এরপর চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন ড. চৌধুরী। ২০০৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি জ্বালানি সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকেই তার দুর্নীতির যাত্রা শুরু।
Thursday, November 28, 2013
Wednesday, November 27, 2013
যশোরে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে জামায়াত নেতা খুন
যশোর: যশোরে জামায়াত নেতা বুলবুল আহমেদ (৩৫) আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হয়েছেন। বুধবার রাতে যশোর উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত বুলবুল উপশহরের বাসিন্দা ডা. ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী এবং উপশহর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত আটটার দিকে বুলবুল উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে তার নিজ বাড়ির সামনে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে এক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেলে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বুলবুল উপশহরের বাসিন্দা ডা. ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী এবং উপশহর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত আটটার দিকে বুলবুল উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে তার নিজ বাড়ির সামনে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে এক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেলে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আফিয়ার জালে বন্দি ছাত্রলীগ নেতা সুমন
ছাত্রলীগ নেতা সুমনের জালে সংসারের ছন্দ হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন আফিয়া বেগম। স্বামী-সংসার ছেড়ে প্রায় তিন বছর তার সঙ্গে করেছেন স্ত্রীর মতো অবাধ মেলামেশা। প্রথমে নিজ এলাকায়, পরে অবাধ মেলামেশা আরও অবারিত করতে দু’জনে চলে আসেন সিলেটে। বাসা ভাড়া করে আফিয়াকে রক্ষিতার মতো ব্যবহার করছিল সুমন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গ ছেড়ে দেয় গাঢাকা। কিন্তু আফিয়া ছাড়েননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গতকাল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে পেয়ে জাপটে ধরেন তাকে। এসময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সুমন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে জৈন্তাপুরে। সুমনের পুরো নাম সুমন মোহন ধর (৩৫)। বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার উজানীনগর গ্রামে। পিতা সবিন্দ্র মোহন ধর (মৃত)। সুমন জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক। আর তার প্রেমিকা চার সন্তানের জননী আফিয়া বেগম (৩৫)। আফিয়া স্থানীয় কাঠাবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
Monday, November 25, 2013
টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিলে কেমন হয়? : শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে দেশে মাত্র একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসেই অনেকগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছি। এখনও দিচ্ছি।
গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবন উদ্বোধন ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আইনজীবীদের নিয়ে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের মাধ্যমে লাইসেন্স পাওয়া এসব টেলিভিশনের মধ্যরাতের টকশোতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়। তারা আমাদের কোনো ভালো কাজ দেখেন না। আমরা যাই করি তাই ভালো লাগে না এসব আলোচকদের।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়িয়েছি, আর সেই বিদ্যুতের মাধ্যমেই চলছে এসব টেলিভিশন চ্যানেল।
এখন আমরা যদি এসব টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেই তাহলে কেমন হয়—এমন প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা সরকারের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার আহ্বান জানান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতি।
গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতির ভবন উদ্বোধন ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আইনজীবীদের নিয়ে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের মাধ্যমে লাইসেন্স পাওয়া এসব টেলিভিশনের মধ্যরাতের টকশোতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়। তারা আমাদের কোনো ভালো কাজ দেখেন না। আমরা যাই করি তাই ভালো লাগে না এসব আলোচকদের।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়িয়েছি, আর সেই বিদ্যুতের মাধ্যমেই চলছে এসব টেলিভিশন চ্যানেল।
এখন আমরা যদি এসব টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেই তাহলে কেমন হয়—এমন প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা সরকারের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার আহ্বান জানান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতি।
চৌদ্দগ্রামে জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ছাত্রলীগের তাণ্ডব লুটপাট
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। রোববার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এসব ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অপর ঘটনায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রোববার রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে ছাত্রলীগকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোববার রাত ও গতকাল সোমবার কয়েক দফায় জামায়াত সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
অপর ঘটনায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রোববার রাতে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে ছাত্রলীগকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোববার রাত ও গতকাল সোমবার কয়েক দফায় জামায়াত সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
Sunday, November 24, 2013
এমপির বাড়ীতে ছাত্রলীগের হামলা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে স্থানীয় বিএনপিপন্থী এমপি মোস্তফা কামাল পাশার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা।
রোববার বিকাল ৪ টায় প্রায় ১ শ’ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এ হামলা চালায়। এতে এমপির ছেলে গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় হামলাকারীরা এমপির গাড়ী ও গ্যারেজ জ্বালিয়ে দেয়।
তাছাড়া, আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।
Saturday, November 23, 2013
মিরসরাইয়ে জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা : দু’জনকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আজ হরতাল
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাফেজ জসীম উদ্দিন (২৯) নামের এক জামায়াতকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালী ইউনিয়নের ডোমখালী সমিতিরহাট বাজার এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে জসিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১২টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। নিহত জসীম সাহেরখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডোমখালী গ্রামের ছমদ আলী হাজি বাড়ির নুরুল আবছারের বড় ছেলে।
এদিকে গত বুধবার জেলার সীতাকুণ্ডে গুম হওয়া এক জামায়াত নেতার লাশ উদ্ধার এবং মিরসরাইয়ে কর্মী খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের যৌথসভা শেষে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিম জানান, জসিম উদ্দিন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বগাচত্বর এলাকা থেকে সাইকেলযোগে ডোমখালী এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে সমিতিরহাট বাজারের পাশে ব্রিজ পার হওয়ার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তার গতিরোধ করে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা রিপন, ছালেক, কাউসার, নুর উদ্দিন ও শরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল জসীমকে ওই বাজারের ছুট্টু সওদাগরের দোকানের পেছনে নিয়ে মাথায় ছুরিকাঘাত ও বেদম পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার আর্তচিত্কারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে মিরসরাই উপজেলা সদরের মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জসীম মারা যান। মারা যাওয়ার খবরে উপজেলার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা চৌধুরী জসীম উদ্দিন খুন হওয়ার খবর শুনেছেন বলে জানান এবং এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ এমকে ভূঁইঞা জানান, জসীম উদ্দিন নামের এক জামায়াতকর্মী নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
এদিকে জামায়াতকর্মী জসিম উদ্দিনের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার কমলদহ বাজারে। এ সময় জানাজাপূর্ব সংক্ষেপে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমীরুজ্জামান, সাবেক আমির অধ্যাপক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর এমডিএম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত নেতা অধ্যাপক নুরুন নবী প্রমুখ। বক্তারা জামায়াতকর্মী জসিম উদ্দিনের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের জোর দাবি জানান। অন্যথায় যে কোনো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দেন।
জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে জামায়াতকর্মী হাফেজ জসিম উদ্দিন নিহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মকবুল আহমাদ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গত শুক্রবার রাতে জসিম উদ্দিনকে আহত করলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে বারোটার দিকে জসিম উদ্দিন শাহাদাত বরণ করেন। এ নির্মম ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতকর্মী আমিনুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করা হয়। সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী ক্যাডার ও সরকারি বাহিনীর সন্ত্রাসের চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রামে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
দুই জামায়াত নেতা খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের যৌথসভা শেষে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে হরতাল চলাকালে পিএসসি পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে বলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটভুক্ত এ দলের নেতারা জানিয়েছেন।
এদিকে গত বুধবার জেলার সীতাকুণ্ডে গুম হওয়া এক জামায়াত নেতার লাশ উদ্ধার এবং মিরসরাইয়ে কর্মী খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের যৌথসভা শেষে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিম জানান, জসিম উদ্দিন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বগাচত্বর এলাকা থেকে সাইকেলযোগে ডোমখালী এলাকায় তার গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে সমিতিরহাট বাজারের পাশে ব্রিজ পার হওয়ার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তার গতিরোধ করে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা রিপন, ছালেক, কাউসার, নুর উদ্দিন ও শরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল জসীমকে ওই বাজারের ছুট্টু সওদাগরের দোকানের পেছনে নিয়ে মাথায় ছুরিকাঘাত ও বেদম পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার আর্তচিত্কারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে মিরসরাই উপজেলা সদরের মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জসীম মারা যান। মারা যাওয়ার খবরে উপজেলার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল মোস্তফা চৌধুরী জসীম উদ্দিন খুন হওয়ার খবর শুনেছেন বলে জানান এবং এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ এমকে ভূঁইঞা জানান, জসীম উদ্দিন নামের এক জামায়াতকর্মী নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
এদিকে জামায়াতকর্মী জসিম উদ্দিনের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার কমলদহ বাজারে। এ সময় জানাজাপূর্ব সংক্ষেপে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমীরুজ্জামান, সাবেক আমির অধ্যাপক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর এমডিএম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত নেতা অধ্যাপক নুরুন নবী প্রমুখ। বক্তারা জামায়াতকর্মী জসিম উদ্দিনের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের জোর দাবি জানান। অন্যথায় যে কোনো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দেন।
জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে জামায়াতকর্মী হাফেজ জসিম উদ্দিন নিহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মকবুল আহমাদ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গত শুক্রবার রাতে জসিম উদ্দিনকে আহত করলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে বারোটার দিকে জসিম উদ্দিন শাহাদাত বরণ করেন। এ নির্মম ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতকর্মী আমিনুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করা হয়। সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী ক্যাডার ও সরকারি বাহিনীর সন্ত্রাসের চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রামে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
দুই জামায়াত নেতা খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের যৌথসভা শেষে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে হরতাল চলাকালে পিএসসি পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে বলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটভুক্ত এ দলের নেতারা জানিয়েছেন।
Thursday, November 21, 2013
সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতা আমিনুলের জানাজা অনুষ্ঠিত : ফেরার পথে ছাত্রলীগের গুলি ও কোপে আহত ৪, ফের উত্তেজনা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর নৃশংস কায়দায় খুন হওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে ফেরার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করেছে জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছে শিবিরের মিরসরাই উপজেলা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, শিবিরের সাথী জাহেদ ও কর্মী শাহিন। তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া যুবলীগ-ছাত্রলীগের উপর্যুপরি কোপে জখম হয়েছেন মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম।
ঘটনা জানাজানি হলে গতকাল ফের জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলামের হত্যাকারী ও জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে দু’দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন জামায়াত-শিবির নেতারা। এর মধ্যে গ্রেফতার না হলে রোববার চট্টগ্রামজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এর আগে গতকাল দুপুর ২টায় গতকাল দুপুর ৩টায় বাড়বকুণ্ড ঈদগা মাঠে নিহত আমিনুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, রোববার কুমিল্লা থেকে অপহৃত হওয়া বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলামের লাশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। অপহরণের ৩ দিন পর বুধবার দুপুরে উপজেলার পৌর সদরের পন্থিছিলা কসাইখানা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশ থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে লাশ মর্গে পাঠায়। গতকাল দুপুরে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে তার লাশ নেয়া হয়। বিকাল ৩টায় বাড়বকুণ্ড ঈদগা ময়দানে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শামসুল ইসলাম এমপি, উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, উপজেলা আমির শফিকুল মাওলা, উপজেলা সেক্রেটারি আবু তাহের, পৌর জামায়াত সভাপতি তৌহিদুল ইসলামসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান জানাজার আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) দোয়া দিবস ও শনিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যদি প্রশাসন শনিবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রোববার থেকে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে মিরসরাই উপজেলার ছোট কমলদহ এলাকায় আমিনুল ইসলামের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাই জামায়াতের আমির নুরুল করিম ও মিরসরাই উপজেলা শিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলামসহ চারজনকে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা গুলি করে গুরুতর আহত করার খবর সীতাকুণ্ডে ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলাজুড়ে আবারও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির জানান, সীতাকুণ্ডে নিহত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের জানাজা শেষে সিএনজি অটোরিকশায় করে মিরসরাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল করিম, ছাত্রশিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও শিবিরকর্মী জাহেদুল ইসলাম ছোট কমলদহ যাচ্ছিলেন। তাদের অটোরিকশার পেছনে পেছনে বড় দারোগারহাট থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের আরেকটি অটোরিকশা ধাওয়া করে। ছোট কমলদহ বাজারের কাছাকাছি গেলে অটোরিকশাটি রাস্তার পূর্বদিকে উল্টে যায়। এ সময় জামায়াত নেতাদের অটোরিকশা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের টেনে-হিচড়ে বের করে উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম ও শাহিনকে গুলি করে। এ সময় অটোরিকশা থেকে দৌড়ে পালানোর সময় উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিমকে একজন ধরে রেখে ৭-৮ জন কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফেনীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিম মোবাইলফোনে জানান, ছাত্রশিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের বুকে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এলেও এখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
এদিকে হরতালে নাশকতার অভিযোগে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছে শিবিরের মিরসরাই উপজেলা সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, শিবিরের সাথী জাহেদ ও কর্মী শাহিন। তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া যুবলীগ-ছাত্রলীগের উপর্যুপরি কোপে জখম হয়েছেন মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম।
ঘটনা জানাজানি হলে গতকাল ফের জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলামের হত্যাকারী ও জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে দু’দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন জামায়াত-শিবির নেতারা। এর মধ্যে গ্রেফতার না হলে রোববার চট্টগ্রামজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এর আগে গতকাল দুপুর ২টায় গতকাল দুপুর ৩টায় বাড়বকুণ্ড ঈদগা মাঠে নিহত আমিনুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, রোববার কুমিল্লা থেকে অপহৃত হওয়া বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলামের লাশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। অপহরণের ৩ দিন পর বুধবার দুপুরে উপজেলার পৌর সদরের পন্থিছিলা কসাইখানা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশ থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে লাশ মর্গে পাঠায়। গতকাল দুপুরে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে তার লাশ নেয়া হয়। বিকাল ৩টায় বাড়বকুণ্ড ঈদগা ময়দানে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শামসুল ইসলাম এমপি, উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, উপজেলা আমির শফিকুল মাওলা, উপজেলা সেক্রেটারি আবু তাহের, পৌর জামায়াত সভাপতি তৌহিদুল ইসলামসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান জানাজার আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, আগামীকাল (শুক্রবার) দোয়া দিবস ও শনিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যদি প্রশাসন শনিবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রোববার থেকে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে মিরসরাই উপজেলার ছোট কমলদহ এলাকায় আমিনুল ইসলামের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাই জামায়াতের আমির নুরুল করিম ও মিরসরাই উপজেলা শিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলামসহ চারজনকে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা গুলি করে গুরুতর আহত করার খবর সীতাকুণ্ডে ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলাজুড়ে আবারও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির জানান, সীতাকুণ্ডে নিহত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের জানাজা শেষে সিএনজি অটোরিকশায় করে মিরসরাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল করিম, ছাত্রশিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও শিবিরকর্মী জাহেদুল ইসলাম ছোট কমলদহ যাচ্ছিলেন। তাদের অটোরিকশার পেছনে পেছনে বড় দারোগারহাট থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের আরেকটি অটোরিকশা ধাওয়া করে। ছোট কমলদহ বাজারের কাছাকাছি গেলে অটোরিকশাটি রাস্তার পূর্বদিকে উল্টে যায়। এ সময় জামায়াত নেতাদের অটোরিকশা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের টেনে-হিচড়ে বের করে উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম ও শাহিনকে গুলি করে। এ সময় অটোরিকশা থেকে দৌড়ে পালানোর সময় উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিমকে একজন ধরে রেখে ৭-৮ জন কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফেনীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল করিম মোবাইলফোনে জানান, ছাত্রশিবির সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের বুকে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এলেও এখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
এদিকে হরতালে নাশকতার অভিযোগে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
Wednesday, November 20, 2013
বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা!
বরিশাল নগরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী নৌকায় করে সদর উপজেলার চরকাউয়ায় গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানেও এমন কয়েকজনের নাম জানা গেছে, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
যে খুনের ঘটনার জের ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারগুলো হামলার শিকার হয়েছে সেই পারভেজের ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি খুনের ঘটনার পর ওই রাতে চরআইচা এলাকায় ছাত্রলীগের একজন নেতাও গিয়েছিলেন। সেখানে হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যে খুনের ঘটনার জের ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারগুলো হামলার শিকার হয়েছে সেই পারভেজের ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি খুনের ঘটনার পর ওই রাতে চরআইচা এলাকায় ছাত্রলীগের একজন নেতাও গিয়েছিলেন। সেখানে হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মুখ বাধা গুলিবিদ্ধ জামায়াত নেতার লাশ উদ্ধার
20 Nov, 2013
সীতাকুন্ডের গুম হওয়া জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম আমীনের (৪০) এর নিথর দেহ এইভাবেই ফেলে রেখে যায়....
সীতাকুণ্ডের বারফকুণ্ড এলাকায় ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পন্থীছিলা এলাকায় কশাইখানার পাশে মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ইতিমধ্যেই জামায়াত-শিবির কর্মীরা একটি গাড়িতে আগুন ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তার পাশ উল্টে ফেলে রেখেছে।
এ ঘটনায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি অস্থান নিয়েছে। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরেরর আশঙ্কায় পুলিশ রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার ঢাকা থেকে আসার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার একটি হোটেল থেকে জামায়াতের এই নেতাকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ তাকে গ্রেফতার করেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সীতাকুণ্ডের বারফকুণ্ড এলাকায় ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আমিনুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পন্থীছিলা এলাকায় কশাইখানার পাশে মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ইতিমধ্যেই জামায়াত-শিবির কর্মীরা একটি গাড়িতে আগুন ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তার পাশ উল্টে ফেলে রেখেছে।
এ ঘটনায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি অস্থান নিয়েছে। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরেরর আশঙ্কায় পুলিশ রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার ঢাকা থেকে আসার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার একটি হোটেল থেকে জামায়াতের এই নেতাকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ তাকে গ্রেফতার করেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশের গুলিতে আহত শিবির কর্মীর মৃত্যু
20 Nov, 2013
গত ২৫ অক্টোবর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলিতে আহত শিবিরকর্মী মাহমুদুল হোসাইন আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
মাহমুদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। জেলার মাইজদীতে আল মাদ্রাসাতুল জিনিয়া আলিম মাদ্রাসার ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল মাহমুদ।
পুলিশের গুলতে ফুসফুসে আঘাতসহ মারাত্মক আহত অবস্থায় তখন থেকেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল মাহমুদ।
মাহমুদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল এবং শিবিরের স্থানীয় সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন।
মাহমুদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। জেলার মাইজদীতে আল মাদ্রাসাতুল জিনিয়া আলিম মাদ্রাসার ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল মাহমুদ।
পুলিশের গুলতে ফুসফুসে আঘাতসহ মারাত্মক আহত অবস্থায় তখন থেকেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল মাহমুদ।
মাহমুদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল এবং শিবিরের স্থানীয় সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন।
সাঁথিয়ায় হিন্দুদের উপর হামলা হয় সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায়:জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষণ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি দলের কর্মীদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করার কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
২ নভেম্বর সাঁথিয়ার হিন্দু-অধ্যুষিত তিনটি গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার ওপর কমিশন এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করে। ঘটনার প্রতিকারের জন্য প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন পাবনার পুলিশ সুপার।
আর পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম সাইদুল হক বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের দু-একজন কর্মী জড়িত ছিলেন।
২ নভেম্বর সাঁথিয়ার হিন্দু-অধ্যুষিত তিনটি গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার ওপর কমিশন এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করে। ঘটনার প্রতিকারের জন্য প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন পাবনার পুলিশ সুপার।
আর পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম সাইদুল হক বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের দু-একজন কর্মী জড়িত ছিলেন।
Tuesday, November 19, 2013
দলীয় নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগ
নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
রাবি: ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে বেলাল হোসেন বিল দলীয় এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার বিকেলে ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর থেকে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান হলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়।
আহত ছাত্রলীগ নেতা বিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তাকে প্রথমে রাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সময় কয়েকজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিল। এ সময় রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন তাকে বঙ্গবন্ধু হলে ডেকে নিয়ে হলের একটি কক্ষে আবদ্ধ করে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
এ সময় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে আসিফের মোবাইলফোনে বারবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনে রাবি মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখি, বিলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত ঝড়ছে। পরে আমি তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে পাঠিয়েছি।’
এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান রানা।
উল্লেখ্য, আসিফ ও ফারুক রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন গ্রুপের কর্মী। তুহিন গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাবস্থায় তাকে টুকিটাকি চত্বরে চড়-থাপ্পর মেরেছিল বিল। ওই ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে ছাত্রলীগে একটি সূত্র জানিয়েছে।
http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/3/44/73634#.UowJxsTxqtg
আ.লীগ নেতার কাছে নেয়ার পথে ৩ বিদেশি পিস্তলসহ আটক ২
নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
নাটোর: নাটোরের বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোলপ্লাজায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১৩ রাউন্ড গুলি ও ছয়টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে। এতে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৪০৫৮) একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই কৃষ্ণ জানায়, এ সময় অবৈধ অস্ত্র বহনের দায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার তমিজ উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান ও তরিকুল আলমের ছেলে শুভকে তারা আটক করে।
আটকৃতরা বলেছে, টাকার বিনিময়ে ঢাকায় জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে অস্ত্রগুলি পৌঁছানোর দায়িত্ব নিয়েছিল তারা।
বরিশালে ৪২ কোটি টাকার দরপত্র ছিনতাই করেছে ছাত্রলীগ
গত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের অন্তিম মুহূর্তেও বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকার দরপত্র (শিডিউল) ও ৭৯ লাখ টাকার ব্যাংক ড্রাফট (গ্যারান্টি) ছাত্রলীগ ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে ভুক্তভোগী ঠিকাদার সুলতান মাহমুদ সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে সোমবার রাতে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর রূপাতলী ও বেলতলায় নির্মাণাধীন দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানি সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চার গ্রুপের ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকার কাজের দরপত্র জমা দেয়ার শেষদিন ছিল সোমবার। ওইদিন সকাল থেকে দরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত স্থান নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাহারা বসায় ছাত্রলীগ নেতা ভিপি মঈন তুষার, জুবায়ের ও লিখনসহ অন্যরা। এ কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে দরপত্র জমা দিতে পারেননি।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে ভুক্তভোগী ঠিকাদার সুলতান মাহমুদ সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে সোমবার রাতে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর রূপাতলী ও বেলতলায় নির্মাণাধীন দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানি সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চার গ্রুপের ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকার কাজের দরপত্র জমা দেয়ার শেষদিন ছিল সোমবার। ওইদিন সকাল থেকে দরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত স্থান নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাহারা বসায় ছাত্রলীগ নেতা ভিপি মঈন তুষার, জুবায়ের ও লিখনসহ অন্যরা। এ কারণে সাধারণ ঠিকাদাররা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে দরপত্র জমা দিতে পারেননি।
Sunday, November 17, 2013
তারেকের খালাসে আদালতে ক্ষুব্ধ আইনজীবীদের ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ায় আদালত প্রাঙ্গনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সরকারপন্থি আইনজীবী।
রবিবার দুপুর সোয়া ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোতাহার হোসেন রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। তবে একই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেন আদালত।
আরটিএনএন
ঢাকা: অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ায় আদালত প্রাঙ্গনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সরকারপন্থি আইনজীবী।
রবিবার দুপুর সোয়া ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোতাহার হোসেন রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। তবে একই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেন আদালত।
Wednesday, November 13, 2013
হিন্দুদের ওপর হামলা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিয়াই গ্রেপ্তার
13 Nov, 2013
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম টুকু'র বিয়াই তসলিম উদ্দিন খানকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত তসলিম বনগ্রাম মিয়াপাড়ার আলহাজ মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। তসলিম ছাড়াও আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাঁজা এবং যুবলীগ কর্মী দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলো।
এদিকে অধিক তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বনগ্রাম মধ্যপাড়ার আমিন ড্রাইভারের ছেলে।
পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লায়লা শারমীনের আদালতে জহুরুল ইসলামে তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বলেন, হযরত মোহাস্মদ (স.) সম্পর্কে বাবলু সাহার ছেলে রাজিব সাহা যে স্ট্যাটাস দিয়েছিল সে সম্পর্কিত একটি প্রিন্ট কপি ওই এলাকার খোকন নামের এক যুবলীগ সমর্থক তার মালিকানাধীন রংধনু ফটোস্ট্যাটের দোকানে এনে প্রথম ফটোকপি করে। পরে এটি এক হাত থেকে অন্য হাতে চলে যায়। বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় বলে সে স্বীকার করে। তবে এটি কোন সর্বদলীয় হামলা ছিল না বলে সে আদালতকে জানায়।
বনগ্রামের বাবলু সাহা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনের নামে মামলা করে। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা করে। বাবলু সাহার দায়ের করা মামলায় যাদের নামীয় আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার আগের দিন পহেলা নভেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার রসুলপুর, মিয়াপুর, বহালবাড়িয়া, পূর্বপাড়া, পাইকপাড়া, বনগ্রাম চইরাপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন, দোলোয়ার হোসেন মানিক, খোকন, ফজলু-১, পুর্বপাড়ার ফজলু, মান্নানের নেতৃত্বে যুবলীগ, বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ১০/১২ যুবক যুবক একজোট হয়ে ফেসবুকের কপি রঙধনু ফটোষ্ট্যাটের দোকান থেকে প্রিন্ট করে বাবলু সাহার দোকানে গিয়ে তার উপর চড়াও হয় এবং তার ছেলে রাজিব ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করে। একই সাথে রাজিবকে তাদের কাছে তুলে দেওয়ার দাবিও জানায়। এ সময় তারা পরের দিন শনিবার দুপুর ১২টায় বনগ্রাম বাজারে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ আহবান করে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে।
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার দায়ের করা একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয়ও গ্রেপ্তার হয়েছে এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, কে কার আত্মীয় সেটি পুলিশের বিষয় নয়। বিষয় অপরাধী। অপরাধী যে হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃত তসলিম বনগ্রাম মিয়াপাড়ার আলহাজ মোসলেম উদ্দিন খানের ছেলে। তসলিম ছাড়াও আতাইকুলা থানার বনগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান খাঁজা এবং যুবলীগ কর্মী দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ১০ দিনে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলো।
এদিকে অধিক তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বনগ্রাম মধ্যপাড়ার আমিন ড্রাইভারের ছেলে।
পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লায়লা শারমীনের আদালতে জহুরুল ইসলামে তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বলেন, হযরত মোহাস্মদ (স.) সম্পর্কে বাবলু সাহার ছেলে রাজিব সাহা যে স্ট্যাটাস দিয়েছিল সে সম্পর্কিত একটি প্রিন্ট কপি ওই এলাকার খোকন নামের এক যুবলীগ সমর্থক তার মালিকানাধীন রংধনু ফটোস্ট্যাটের দোকানে এনে প্রথম ফটোকপি করে। পরে এটি এক হাত থেকে অন্য হাতে চলে যায়। বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় বলে সে স্বীকার করে। তবে এটি কোন সর্বদলীয় হামলা ছিল না বলে সে আদালতকে জানায়।
বনগ্রামের বাবলু সাহা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনের নামে মামলা করে। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা করে। বাবলু সাহার দায়ের করা মামলায় যাদের নামীয় আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার আগের দিন পহেলা নভেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার রসুলপুর, মিয়াপুর, বহালবাড়িয়া, পূর্বপাড়া, পাইকপাড়া, বনগ্রাম চইরাপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন, দোলোয়ার হোসেন মানিক, খোকন, ফজলু-১, পুর্বপাড়ার ফজলু, মান্নানের নেতৃত্বে যুবলীগ, বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ১০/১২ যুবক যুবক একজোট হয়ে ফেসবুকের কপি রঙধনু ফটোষ্ট্যাটের দোকান থেকে প্রিন্ট করে বাবলু সাহার দোকানে গিয়ে তার উপর চড়াও হয় এবং তার ছেলে রাজিব ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করে। একই সাথে রাজিবকে তাদের কাছে তুলে দেওয়ার দাবিও জানায়। এ সময় তারা পরের দিন শনিবার দুপুর ১২টায় বনগ্রাম বাজারে এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ আহবান করে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ পাবনা-নগরবাড়ী মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে।
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনাটি অধিক তদন্তের স্বার্থে পুলিশের দায়ের করা দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্থ বাবলু সাহার দায়ের করা একটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয়ও গ্রেপ্তার হয়েছে এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, কে কার আত্মীয় সেটি পুলিশের বিষয় নয়। বিষয় অপরাধী। অপরাধী যে হোক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
Tuesday, November 12, 2013
ককটেল বহনকারী আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের ধরে গণধোলাই!
কুমিল্লার মুরাদনগরে ককটেল বহনকারী আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের ধরে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
জানা গেছে, দুটি মোটরসাইকেলযোগে চার যুবক গতকাল বিকাল তিনটার দিকে মুরাদনগর সদরে স্থানীয় সংসদ সদস্য কায়কোবাদের বাসার অনতিদূরে এসে ওই বাসা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন লোক সন্দেহ করে ক্ষিপ্র গতিতে সামনে এগিয়ে গিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে তারা রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এ সময় দু’জনকে ধরে গণধোলাই দেয়া হয়।
Friday, November 8, 2013
হিন্দু পল্লীতে হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়ী : আবু সাইয়িদ
হিন্দু পল্লীতে হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দায়ী : আবু সাইয়িদ
পাবনা প্রতিনিধি : সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ পাবনার বনগ্রামে হিন্দু পল্লীতে হামলা, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকুকে দায়ী করেছেন। শুক্রবার বিকেলে বনগ্রাম বাজারে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, শনিবার যখন বনগ্রামে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছিল, তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে অবস্থান করছিলেন। তাকে বারবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি আসার সময় পাননি। তার সঙ্গে র্যাব-পুলিশ ছিল, কিন্তু তিনি তাদের কাউকে নির্দেশও দেননি।
আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তারেক আলী মৃধা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা রোটারিয়ান প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র প্রমুখ।
http://www.amadershomoybd.com/content/2013/11/09/news0472.htm#.Un2DEzZZJpo.facebook
পাবনা প্রতিনিধি : সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ পাবনার বনগ্রামে হিন্দু পল্লীতে হামলা, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকুকে দায়ী করেছেন। শুক্রবার বিকেলে বনগ্রাম বাজারে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, শনিবার যখন বনগ্রামে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট করা হচ্ছিল, তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে অবস্থান করছিলেন। তাকে বারবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি আসার সময় পাননি। তার সঙ্গে র্যাব-পুলিশ ছিল, কিন্তু তিনি তাদের কাউকে নির্দেশও দেননি।
আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তারেক আলী মৃধা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা রোটারিয়ান প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র প্রমুখ।
http://www.amadershomoybd.com/content/2013/11/09/news0472.htm#.Un2DEzZZJpo.facebook
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস : নেপথ্যে ছাত্রলীগ
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস : নেপথ্যে ছাত্রলীগ
08 Nov, 2013
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগে এটি গুজব হিসেবে শোনা গেলেও পরীক্ষার পর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাটি সত্য বলে জানা গেছে।
এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে জালিয়াতচক্র হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
জানা গেছে, মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা, ব্লুটুথ ও বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েকটি চক্রটি এ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরুর পর বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে অনেককেই প্রশ্নপত্র সমাধান করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট ২৯ পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা ক্ষুদ্র ব্লুটুথে উত্তরপত্র সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে কোনো সন্দেহ নেই। বোরহানউদ্দিন কলেজ থেকে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার ১০টায় রাজধানীর ৭১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ২ হাজার ২৯৬ আসনের বিপরীতে মোট ৩৮ হাজার ৭৬৮জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়।
তবে পরীক্ষার শুরুর প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি সূত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজের (দক্ষিণ ছাত্রাবাস) নেতৃত্বে দক্ষিণায়ন হলের কাওছার (ব্যবস্থাপনা, চতুর্থ বর্ষ) ও মামুন (ব্যবস্থাপনা চতুর্থ বর্ষ) চুক্তিবদ্ধ এক পরীক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসে।
যা দক্ষিণায়ন ছাত্রবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে বসে সমাধান করা হয়। সেখান থেকেই বু্লটুথের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়। ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এইচ পল্লব টাকার বিনিময়ে তাদের সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জালিয়াতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শুভ’র নেতৃত্বে একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশি মোড়ে এ চক্রের সাথে ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির চুক্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, বোরহানউদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তার মোবাইল জব্দ করে। প্রশাসনের হাতে থাকা সেই ফোনে পরীক্ষা শুরুর পর ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে আসে।
বোরহানউদ্দিন কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের জন্য অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাদেরকে লোভ দেখিয়েছে। তবে কাউকে প্রবেশ করতে দেননি তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে দীর্ঘদিন ধরেই কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি ও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ডিবিকে চক্রের মোবাইল নম্বরসহ দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তারা চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, জালিয়াতি চক্র আগেও সক্রিয় ছিল। এখনও সক্রিয় রয়েছে। তবে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত এ প্রক্টর।
গত পহেলা নভেম্বর সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন জালিয়াতির অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করলেও জালিয়াতির চক্রের কাউকেই আটক করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়াও ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিএড সম্মান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এ পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল। এর দুই সেটের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম নিউ মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
তৎকালীন প্রক্টর কেএম সাইফুল ইসলাম খান ওই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন আখ্যা দিলেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি।
কলা অনুষদ ডিন ও ‘খ’ ইউনিট পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ‘খ’ ইউনিটে ঘটেনি। তাই পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে যদি টাকায় প্রশ্ন পাওয়া যায় তখন প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলা যায়। তবে ঢাবির ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটেনি
এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে জালিয়াতচক্র হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
জানা গেছে, মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা, ব্লুটুথ ও বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েকটি চক্রটি এ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরুর পর বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে অনেককেই প্রশ্নপত্র সমাধান করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট ২৯ পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা ক্ষুদ্র ব্লুটুথে উত্তরপত্র সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে কোনো সন্দেহ নেই। বোরহানউদ্দিন কলেজ থেকে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার ১০টায় রাজধানীর ৭১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ২ হাজার ২৯৬ আসনের বিপরীতে মোট ৩৮ হাজার ৭৬৮জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়।
তবে পরীক্ষার শুরুর প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি সূত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজের (দক্ষিণ ছাত্রাবাস) নেতৃত্বে দক্ষিণায়ন হলের কাওছার (ব্যবস্থাপনা, চতুর্থ বর্ষ) ও মামুন (ব্যবস্থাপনা চতুর্থ বর্ষ) চুক্তিবদ্ধ এক পরীক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসে।
যা দক্ষিণায়ন ছাত্রবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে বসে সমাধান করা হয়। সেখান থেকেই বু্লটুথের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়। ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এইচ পল্লব টাকার বিনিময়ে তাদের সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জালিয়াতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শুভ’র নেতৃত্বে একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশি মোড়ে এ চক্রের সাথে ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির চুক্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, বোরহানউদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তার মোবাইল জব্দ করে। প্রশাসনের হাতে থাকা সেই ফোনে পরীক্ষা শুরুর পর ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে আসে।
বোরহানউদ্দিন কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের জন্য অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাদেরকে লোভ দেখিয়েছে। তবে কাউকে প্রবেশ করতে দেননি তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে দীর্ঘদিন ধরেই কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি ও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ডিবিকে চক্রের মোবাইল নম্বরসহ দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তারা চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, জালিয়াতি চক্র আগেও সক্রিয় ছিল। এখনও সক্রিয় রয়েছে। তবে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত এ প্রক্টর।
গত পহেলা নভেম্বর সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন জালিয়াতির অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করলেও জালিয়াতির চক্রের কাউকেই আটক করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়াও ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিএড সম্মান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এ পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল। এর দুই সেটের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম নিউ মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
তৎকালীন প্রক্টর কেএম সাইফুল ইসলাম খান ওই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন আখ্যা দিলেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি।
কলা অনুষদ ডিন ও ‘খ’ ইউনিট পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ‘খ’ ইউনিটে ঘটেনি। তাই পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে যদি টাকায় প্রশ্ন পাওয়া যায় তখন প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলা যায়। তবে ঢাবির ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটেনি
Thursday, November 7, 2013
Minority attack in Pabna :Some attackers seen with Tuku
Some of the alleged culprits of Saturday’s attack on Hindu community in Pabna were yesterday seen with State Minister for Home Shamsul Hoque Tuku and two lawmakers in the affected Bonogram village.
With Tuku, Disaster Management and Relief Minister Abul Hasan Mahmud Ali and State minister for LGRD Jahangir Kabir Nanak visited Bonogram yesterday, four days after vandalism and looting of over 100 Hindu houses had taken place in Sahapara and Ghoshpara areas.
Interestingly, during the visit, the state minister claimed that his party men had tried to save the Hindu families.
Mithu and Rubel, who according to villagers were among the attackers, were prominently seen welcoming the ministers and taking part in a rally organised by the local administration protesting Saturday’s violence.
The Daily Star took photos of Mithu and Rubel, both aged between 20 and 25 years. Seeing the photos, the victim families and locals vehemently said that both had taken part in the vandalism and looting.
Mithu was seen around the ministers all the time and chanting slogans with others.
Asked, locals said Mithu and Rubel of nearby Miapur village are known as local thugs. But the villagers could not confirm their political identity.
“Another youth named Ani, who also had been with the attackers, was also seen in the programme,” said a trader of Bonogram bazar.
Hailing from Gouripur, Ani is also known in the area as a mugger and extortionist. He is involved in an underground party along with his uncle, alleged locals.
While talking to affected Hindu women in Ghoshpara, State Minister Tuku said, “Our leaders and workers tried to save you risking their lives. But by the time, some damage had already been done.”
“You stay with courage … our activists are here,” he told them.
The ministers were also flanked by Inspector General of Police (IGP) Hasan Mahmud Khandker and RAB Director General Moklesur Rahman.
The IGP enquired whether the villagers were still in panic.
In response a woman said as long as police are with them they feel secured, but do not know what will happen when there is no police protection.
The IGP claimed that police were very active in arresting the attackers.
But in reality police could not arrest a single person who took part in the attack. So far they have arrested 10 people — all accused in a case filed by police for assaulting cops during a road blockade at Bonogram bazar.
“I named 20 persons in my case for attacking and looting my house, but none of them have been arrested,” said Babul Saha, who came under a mob attack on a rumour that his son had maligned the Prophet in facebook. Some locals and police rescued him.
Police could not also nab any of the youths who challenged Babul at his shop that day for his son’s alleged act.
Yesterday, several hundred bikers welcomed the ministers at Santhia when they reached there in a helicopter. The supporters then accompanied them to Bonogram.
Meanwhile, the rally there actually looked like a showdown against BNP-Jamaat to gain political benefit rather than having the attackers arrested or punished.
The ministers said the prime minister had sent them to talk to the victims and report to her, and that she had expressed deep sympathy and assured of all kinds of assistance.
Pointing finger at BNP and Jamaat, Nanak told the rally that the attack in Bonogram was like those carried out in 1971, in Ramu and many other places in the country. He urged all to fight the evil forces unitedly.
Nanak claimed that the local administration promptly acted during the attack, but in fact, police failed to reach the Hindu villages even in two-and-a-half hours.
While visiting the damaged houses and talking to the victims, Tuku was also seen seeking votes for himself in the next general elections. “My symbol is boat … remember it,” Tuku told villagers waving his hands.
With Tuku, Disaster Management and Relief Minister Abul Hasan Mahmud Ali and State minister for LGRD Jahangir Kabir Nanak visited Bonogram yesterday, four days after vandalism and looting of over 100 Hindu houses had taken place in Sahapara and Ghoshpara areas.
Interestingly, during the visit, the state minister claimed that his party men had tried to save the Hindu families.
Mithu and Rubel, who according to villagers were among the attackers, were prominently seen welcoming the ministers and taking part in a rally organised by the local administration protesting Saturday’s violence.
The Daily Star took photos of Mithu and Rubel, both aged between 20 and 25 years. Seeing the photos, the victim families and locals vehemently said that both had taken part in the vandalism and looting.
Mithu was seen around the ministers all the time and chanting slogans with others.
Asked, locals said Mithu and Rubel of nearby Miapur village are known as local thugs. But the villagers could not confirm their political identity.
“Another youth named Ani, who also had been with the attackers, was also seen in the programme,” said a trader of Bonogram bazar.
Hailing from Gouripur, Ani is also known in the area as a mugger and extortionist. He is involved in an underground party along with his uncle, alleged locals.
While talking to affected Hindu women in Ghoshpara, State Minister Tuku said, “Our leaders and workers tried to save you risking their lives. But by the time, some damage had already been done.”
“You stay with courage … our activists are here,” he told them.
The ministers were also flanked by Inspector General of Police (IGP) Hasan Mahmud Khandker and RAB Director General Moklesur Rahman.
The IGP enquired whether the villagers were still in panic.
In response a woman said as long as police are with them they feel secured, but do not know what will happen when there is no police protection.
The IGP claimed that police were very active in arresting the attackers.
But in reality police could not arrest a single person who took part in the attack. So far they have arrested 10 people — all accused in a case filed by police for assaulting cops during a road blockade at Bonogram bazar.
“I named 20 persons in my case for attacking and looting my house, but none of them have been arrested,” said Babul Saha, who came under a mob attack on a rumour that his son had maligned the Prophet in facebook. Some locals and police rescued him.
Police could not also nab any of the youths who challenged Babul at his shop that day for his son’s alleged act.
Yesterday, several hundred bikers welcomed the ministers at Santhia when they reached there in a helicopter. The supporters then accompanied them to Bonogram.
Meanwhile, the rally there actually looked like a showdown against BNP-Jamaat to gain political benefit rather than having the attackers arrested or punished.
The ministers said the prime minister had sent them to talk to the victims and report to her, and that she had expressed deep sympathy and assured of all kinds of assistance.
Pointing finger at BNP and Jamaat, Nanak told the rally that the attack in Bonogram was like those carried out in 1971, in Ramu and many other places in the country. He urged all to fight the evil forces unitedly.
Nanak claimed that the local administration promptly acted during the attack, but in fact, police failed to reach the Hindu villages even in two-and-a-half hours.
While visiting the damaged houses and talking to the victims, Tuku was also seen seeking votes for himself in the next general elections. “My symbol is boat … remember it,” Tuku told villagers waving his hands.
সাতক্ষীরায় যুবলীগের হামলায় আহত জামায়াত কর্মীর মৃত্যু
সাতক্ষীরায় যুবলীগের হামলায় আহত জামায়াত কর্মীর মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার:গত ২ নভেম্বর সাতক্ষীরায় যুবলীগের হামলায় আহত জামায়াত কর্মী আব্দুস সবুর (৩২) মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সবুর পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ইউনিয়নের মৃত জাকারিয়ার ছেলে। গত শনিবার ১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে সরুলিয়া বাজারের জামায়াতের সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগের কর্মীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
- See more at: http://www.thedhakapress24.com/index.php?ref=MjBfMTFfMDZfMTNfMV81M180NTgx#sthash.tXnSK1wY.Sd7LX2lL.dpuf
ইবির ভিসি কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলা
ইবি/ জেলা প্রতিনিধি, বাংলামেইল২৪ডটকম
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ইবি শাখা সাবেক ছাত্রলীগের চাকরিপ্রত্যাশী নেতা আশিকুর রহমান ও তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন এ হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপাচার্যের কার্যালয়ের একজন কর্মচারী জানান, দুপুর ২টার দিকে ইবি শাখা সাবেক ছাত্রলীগের চাকরি প্রত্যাশী নেতা আশিকুর রহমান ও তৌফিকুর রহমানের নেতৃত্বে চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতাকর্মী বহিরাগত আরো কিছু লোককে নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকেন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হাকিম সরকার শারিরীকভাবে অসুস্থতার জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন।
ওই নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে এসে কাউকে না পেয়ে উপস্থিত কয়েকজন কর্মচারীকে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী এবং শাখা কর্মকর্তাদের কক্ষের চেয়ার টেবিল ও কাঁচ ভাঙচুর করে চলে যান। পরে প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিসের প্রয়োজনে কক্ষের বাইরে ছিলাম। বাইরে থেকে আসার পর আমার কক্ষ এবং ভিসি স্যারের ব্যক্তিগত সহকারী জিল্লুর রহমানের কক্ষে ভাঙচুরের দৃশ্য দেখতে পাই।’ তবে কে বা কারা এ ভাঙচুর চালিয়েছেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সাবেক নেতা আশিকুর রহমান তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু তা এখনো না হওয়ায় বহিরাগত চাকরিপ্রত্যাশীদের কয়েকজন গিয়ে কাউকে না পেয়ে ভাঙচুর করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম খান বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক কয়েকজন নেতাকর্মীকে আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগেও বিভিন্ন অফিসে বেশ কয়েকবার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzExXzA3LTk4LTYxMzA4
Tuesday, November 5, 2013
চৌদ্দগ্রামে শিবির কর্মীর রগ কাটল ছাত্রলীগ!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌদ্দগ্রামে বাকবিতন্ডার জের ধরে দুই শিবির কর্মীর হাতের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। মঙ্গলবার রাত ১০টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ আমজাদের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আমজাদের বাজারস্থ দুর্গাপুর গ্রামের শিবির কর্মী ঝুমন ও মনির হোসেনের সাথে এক সিএনজি চালকের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।
পরে ঐ সিএনজি চালক একই গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী পারভেজসহ কয়েকজনকে বিষয়টি জানায়। হঠাৎ করেই পারভেজের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে শিবির কর্মী ঝুমন ও মনিরের হাতের রগ কেটে দেয়।
এতে বাজারের ব্যবসায়ীসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিএনজি চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
http://comillarbarta.com/comilla/22-featured-news/10023-hhal11234567890123456789.html
পরে ঐ সিএনজি চালক একই গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী পারভেজসহ কয়েকজনকে বিষয়টি জানায়। হঠাৎ করেই পারভেজের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে শিবির কর্মী ঝুমন ও মনিরের হাতের রগ কেটে দেয়।
এতে বাজারের ব্যবসায়ীসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিএনজি চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
http://comillarbarta.com/comilla/22-featured-news/10023-hhal11234567890123456789.html
Sunday, November 3, 2013
পাবনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর :নেপথ্যে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি!
পাবনার সাঁথিয়ায় ফেসবুকে হজরত মুহাম্মদ সা: সম্পর্কে কটূক্তির বিষয়টি ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনার নেপথ্যে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি মূল কারণ বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা। এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। এই ঘটনায় রাজিব সাহার বাবা বাবা বাবলু সাহা বাদি হয়ে আতাইকুলা থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টে। একই সাথে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। ভাঙচুরের ঘটনা দেখেছেন এমন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা কাওসার হাবিব সুইট, মতির ছেলে খোকনসহ ১০-১২ জন যুবক প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার একটি প্রিন্ট কপি বের করে বনগ্রাম বাজারে ছড়িয়ে দেয়। পরে বাবলু সাহার মুদিদোকানে গিয়ে তার ছেলে রাজিবের খোঁজ করে। পরে তাকে না পেয়ে দোকান ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বনগ্রামে হাটের দিন হওয়ায় হাজার হাজার লোকজন একত্র হয়ে সাহাপাড়ায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সাংবাদিকদের রাজিব সাহার বাবা বাবলু সাহা বলেন, তিন মাস আগে তার মেয়ের বিয়ের সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। তিনি ওই টাকা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় ফোনে হুমকি দিচ্ছিল। তারা ক্ষতি করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাবলু সাহা বনগ্রাম এলাকার একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময় তার কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করত। দাবিকৃত চাঁদা দিতে রাজি না হলে তাকে বিভিন্ন সময় হুমকিও দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তারই ধারাবাহিকতায় ওই সন্ত্রাসী চক্র উদোর পিণ্ডি বুঁধোর ঘারে চাপাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তাদের ধারণা। পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মুনিরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর দুইজন সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাইন ও ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুল আলম মাসুম এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে গতকাল দুপুরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে রাজশাহী অ্যাডিশনাল ডিআইজি খোরশেদ হোসেন, পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, পাবনা র্যাব-১২ কমান্ডার মেজর মঈন উদ্দিন, সাংবাদিক রণেশ মৈত্র, পাবনা জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি গণেশ ঘোষ, সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি কোরবান আলী বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুব মোর্শেদ জ্যোতিসহ প্রশাসন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলা সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গণেষ ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে তারা শহরে ঘটনার বিচার দাবি করে একটি মানববন্ধন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাহাপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করি না। যুগ যুগ ধরে আমরা এখানে সহাবস্থানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। হঠাৎ করে একটি গুজব রটিয়ে যারা এ কাজ করেছে আমরা তাদের বিচার দাবি করি। তারা আরো বলেন, বনগ্রামের পাশের রসূলপুর, মিয়াপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু পেশাদার সন্ত্রাসী তাদের ফায়দা হাসিল করতে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। এ ঘটনা ঘটানোর পেছনে চাঁদা দাবির বিষয়টি থাকতে পারে বলেও জানান তারা। পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় রাজিবের বাবা বাবলু সাহা বাদি হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত পরিচয় ২০০-৩০০ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, টিন ও টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রাজিব সাহার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার ফেসবুকে পবিত্র কুরআন শরিফ ও মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা: সম্পর্কে কটূক্তির খবর ছড়িয়ে পড়লে বনগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০-২৫টি বাড়ি, দু’টি মন্দির ও ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
http://www.dailynayadiganta.com/welcome/post/28770#.UncJvfnxqth
Friday, November 1, 2013
রাজশাহীতে ইয়াবাসহ আওয়ামী এমপি পুত্র গ্রেফতার
রাজশাহীতে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোস্তাক আহমেদ টুলু (২৭) ও তার সহযোগী মামুনুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শাহ মখদুম থানা বাইপাস এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শাহ মখদুম থানা পুলিশের একটি দল বাইপাস এলাকায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের গ্যারেজের সামনে রাস্তায় টহলরত অবস্থায় ছিল। এসময় মোটরসাইকেলযোগে নগরীতে ফেরা এমপি পুত্র টুলু ও তার সহযোগী মামুনুর রশিদকে আটক করা হয়। পরে দেহ তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতার এমপি পুত্র ও তার সহযোগীকে শুক্রবারই আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমপি পুত্র ও তার সহযোগী ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। সূত্র জানায়, ইয়াবাসহ এমপি পুত্র টুলুর আটকের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় তদবির শুরু করেন। তবে পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে না দেয়ার ব্যাপারে শুরু থেকেই ছিলো অনড়। পুলিশের কঠোর মনোভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত তাদের তদবির কোনো কাজে আসেনি। অপর একটি সূত্র জানায়, এর আগেও বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ এমপি পুত্র টুলু ও জুয়েল নামে তার এক সহযোগীকে সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে দলীয় প্রভাবে ছাড়া পান এমপি পুত্র টুলু। আর কারাভোগের পর সম্প্রতি মুক্তি পায় জুয়েল।
আরো খবর:
Subscribe to:
Posts (Atom)