Thursday, September 26, 2013

মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে ছাত্রলীগ কর্মীদের গণধর্ষণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন পদত্যাগ করেছেন। সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ফেনী থেকে করেরহাট রামগড় সড়ক সংলগ্ন নয়টিলা মাজার জিয়ারত করতে আসেন ফেনীর মহিপাল হাজারী রোড এলাকার ওই গৃহবধূ। সঙ্গে ছিলেন তার চাচাতো ভাই। তার হাতের জটিল অসুস্থতার জন্য বিয়ের পর স্বামী তাকে নিয়ে যাচ্ছে না বলে নিয়ত করে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এখানে আসেন তিনি। সন্ধ্যার পর ফেরার পথে করেরহাট বাজার পার হয়ে লক্ষ্মীছড়ার পাশে স্থানীয় ছাত্রলীগের যুবক দিদারুল আলম (২৩), মোশাররফ (২৪), সুজা (২৩) ও করিম (২৪) তাদের সিএনজি আটক করে চাচাতো ভাইয়ের ২টি মোবাইল ও পকেটে থাকা ৪০০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ভাইকে সেখানে আটকে রেখে বোনকে লিটন (২৫), জিয়া (২৪) ও সবুজ (২৩) আরেকটি সিএনজিতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সব রেখে দিয়ে ভাইকে ছেড়ে দেয়। এরপর ভাই ঘটনাটি স্থানীয় লোকজনদের জানালে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সেক্রেটারিকে জানাতে পরামর্শ দেন। অবশেষে রাত ১০টার পর ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ অবহিত হয়।
রাত ১২টার পর অপহরক দলের সদস্য দিদারুল আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী  রাত ২টায় গৃহবধূকে দক্ষিণ অলীনগর এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেন জোরারগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন। এ সময় ধর্ষকেরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। গৃহবধূ জানান, ৩ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। দিদারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ধর্ষক তিনজন হলো লিটন, জিয়া ও সবুজ। লিটন করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দিদার প্রচার সম্পাদক ও সবুজ সক্রিয় কর্মী। এছাড়া অন্য সকলে ছাত্রলীগ কর্মী। এ বিষয়ে করেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান এমন অপরাধী ছাত্রলীগ নয় এরা ছাত্রলীগ নামধারী।

Wednesday, September 18, 2013

কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করলো ছাত্রলীগ নেতা!


hobigongহবিগঞ্জের মাধবপুরে এক ছাত্রলীগ নেতা কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রলীগ নেতা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করেছে।
উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা কাজী বাবুল মিয়ার ছেলে কাজী রিয়াদ (২২) তার বাসার কাজের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে। অবশেষে ওই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। সোমবার রাতে স্থানীয় কয়েকজন মাতবর মিলে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি রফাদফা করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদের বাবা কাজী বাবুল মিয়া জানান, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মেয়েটি অসুস্থ ছিল। তাই আমরা মেয়েটিকে চিকিৎসা করিয়েছি। আমার মানসম্মান নষ্ট করার জন্য কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় মতবর শাহআলম চৌধুরী ওরফে অনু চৌধুরী জানান, কাজের মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এটি আমি পাশের বাড়ির কয়েকজনের কাছ থেকে শুনেছি। তবে কার দ্বারা হয়েছে তা আমার জানা নেই।
http://www.newsevent24.com/?p=61144

Monday, September 16, 2013

আ’লীগ নেতার সাথে অভিসারে না যাওয়ায়…..

schoolফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবদিন মামুনের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে না যাওয়ায় বাতসিরি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ও তার অভিভাবক স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো বিচার না পেয়ে গতকাল সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের সামনে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।
জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবদিন মামুনের শ্যালক সাব্বির ও তার সহযোগীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে জোর করে রাস্তা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে দাগনভূঞা নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী এ টি এম শরীফ উদ্দিন আল-হারুনীর অফিসে নিয়ে যায়। এখানে সাত লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ছাত্রীকে বিবাহ করে।
পরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক মাস আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে রিকশাচালক বাবা আবদুল বারিকের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নেয়। ওই টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর গত ঈদুল ফিতরের আগে আবার ওই ছাত্রীকে সমাসপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়।
ঈদের পর ছুটি শেষে মেয়েটি স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়। অসহায় মেয়েটি মা-বাবাকে নিয়ে স্কুল সভাপতি জয়নাল আবদিন মামুনের কাছে গেলে তিনি এবং কমিটির অপর সদস্য মশিউর রহমান মিন্টু মেয়েটিকে তাদের সাথে গোপনে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তারা মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। এ ব্যাপারে সে শিক্ষামন্ত্রী, সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে।
পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ অভিযোগপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি জেনে তিনি দাগনভূঞা থানা ওসির মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে শনিবার স্কুলে পাঠিয়েছেন। তবে নির্যাতিতা ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, মামুন ও তার সহযোগীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
জয়নাল আবদিন মামুন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, ওই ছাত্রীকে তিনি স্কুলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
http://www.newsevent24.com/?p=60771

Friday, September 13, 2013

দিগম্বর হয়ে বিশেষ অঙ্গ দিয়ে গিটার বাজালেন আ’ লীগ নেতা!

potuakhaliবৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মদ পান করে লঞ্চে দিগম্বর হয়ে মহিলা যাত্রীদের সঙ্গে তিনি অশ্লীল আচরণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগর তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের নেতা ফোরকান সিকদার এমভি সাত্তার খান লঞ্চের তৃতীয় তলায় ৩১ নম্বর ডাবল বেডের কেবিনে যাত্রী হন। রাত ১০টার দিকে তিনি মদপান করে মাতলামি শুরু করেন। চলে রাত প্রায় দুটা পর্যন্ত। এ সময় লঞ্চের আসবাবপত্র ভাঙচুর, কেবিন বয়কে মারধোর এবং এক পর্যায় শরীরের সব পোশাক খুলে ফেলে দিগম্বর হয়ে বিশেষ অঙ্গ দিয়ে গিটার বাজিয়েছেন তিনি।
একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির এমন অশোভন আচরণে পাশের কেবিনে অবস্থানরত মহিলা যাত্রীরা চরম বিরক্তি অনুভব করেন। কিন্তু তাকে নিবৃত করার সাহস ছিল না কারো। এমনকি ওই নেতা নগ্ন অবস্থায় পাশের মহিলা যাত্রীদের কেবিনের সামনে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়েন।
রাতেই বিষয়টি পটুয়াখালীতে কর্মরত মিডিয়াকর্মীদের কাছে ফোন করে জানিয়েছেন লঞ্চে অবস্থানকারী একাধিক যাত্রী। শুক্রবার সকালে এমভি সাত্তার খান লঞ্চটি পটুয়াখালী ঘাটে পৌঁছলে সাংবাদিকরা লঞ্চ স্টাফদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তারা।
ওই লঞ্চে তার সঙ্গে যাত্রী ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সিকদারসহ অনেক সিনিয়ার নেতা।
এদিকে, শুক্রবার সকালে বিষয়টি পটুয়াখালীতে জানাজানি হলে ‘টক অপ দ্যা টাউনে’ পরিণত হয়। সবার মুখে বিষয়টি আলোচিত হতে থাকে।
উল্লেখ্য, আ’ লীগের এ নেতা বছরখানেক আগেও একইভাবে লঞ্চে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। বিষয়টি তখনও বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়।
http://www.newsevent24.com/?p=59643

Thursday, September 12, 2013

পরকীয়ায় ধরা খেয়ে ৫০ বছরের বৃদ্ধাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন আ.লীগ নেতা

পরকীয়ায় ধরা খেয়ে ৫০ বছরের বৃদ্ধাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন আ.লীগ নেতা

রাজশাহীর তানোরে পরকীয়া প্রেমে ধরা খেয়ে অবশেষে ৫০ বছরের বৃদ্ধাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন চান্দুড়িয়া ইউপির আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও ইউপি মেম্বার সুরমান। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চেল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপি'র সুরমান মেম্বার তার নির্বাচনী এলাকার সিলিমপুর গ্রামের ৫০ বছর বয়সের এক বিধবা বৃদ্ধার সঙ্গে প্রায় দু'বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে দৈহিক মেলামেশা করে আসছিলেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই বৃদ্ধ নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার নামে তার বাড়িতে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন ঐ মেম্বার। এসময় আশপাশের লোকজন জানতে পেয়ে তাদেরকে একই ঘরে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি মেম্বারসহ ওই বিধবা বৃদ্ধাকে রাতেই আটক করে থানা হেফাজতে নেন। পরে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে ইউপি মেম্বার ওই নারীকে বিয়ে করতে রাজি হন। ৮০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে থানার বাইরে কাজী অফিসে নিয়ে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন মেম্বারকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন। এতে ওই বৃদ্ধার আপত্তি না থাকায় তাদেরকে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
http://www.sylhetbarta.com/newsdetail/detail/31/11301

আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে মা-মেয়েকে রাতভর গণধর্ষণ!

feniফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশমুন্সীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মা-মেয়েকে রাতভর গণধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
গণধর্ষণের নেতৃত্বে থাকা রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোরাইমুন্সী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিন্টুকে আটক করেছে র‌্যাব।
ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, লতিফপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী-কন্যা কোরাইশমুন্সী বাজারের নারী মেলা (শাড়ী দোকান) ও রোজ বিউটি পার্লারে ব্যবসা করে আসছেন।
সোমবার রাতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন মামুনের ভাই সাইফুদ্দিন লিটু রোজ বিউটি পার্লারের মালিক মেয়ে বিউটিশিয়ানকে (১৭) তত্সংলগ্ন কামার পুকরিয়া গ্রামের দুলা মিয়ার বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
পরে মেয়েকে আনতে তার মাকে (৩৫) মোবাইল ফোনে সেখানে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। লিটু ও তার সহযোগী সোলায়মান, বোমা সোহেল, রাসেল, মাওলা, ফারুক ও জামালসহ ১০/১২ জন যুবক তাদেরকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে র‌্যাব রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান মিন্টুকে আটক করে।
ঘটনার পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মামুনের ভাই লিটু পলাতক রয়েছে।
http://www.newsevent24.com/?p=59164

Tuesday, September 10, 2013

যৌন হয়রানির কারণে ছাত্রলীগ সভাপতিকে জুতাপেটা


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : প্রথমবর্ষের এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানী করায় ছাত্রলীগ নেতার কপালে জুটেছে অন্যরকম পুরস্কার। ছাত্রী আর শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিলে তাকে করেছেন জুতাপেটা।

মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে দেলদুয়ারে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজে। প্রথমবর্ষের এক ছাত্রী ক্লাস করার সময় ওই কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল হোসেন লিটু তার ক্লাসে যান। শিক্ষিকার উপস্থিতিতেই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন। এসময় প্রভাষক হাছিনা আকতার ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই নেতা শিক্ষিকার ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন।

এঘটনায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ তলব করে কলেজ প্রশাসন। এক পর্যায়ে অন্যান্য প্রভাষক একত্র হয়ে ওই নেতাকে কলেজ মাঠে নিয়ে গিয়ে জুতাপেটা করেন।

এ ব্যাপারে ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল করিম শহিদ বলেন, ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় প্রকাশ্যে কলেজমাঠে ওই ছাত্রকে জুতাপেটা করা হয়েছে। কলেজ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হবে।
http://www.amadershomoybd.com/content/2013/09/11/news0709.htm

ভাঙচুরের নাম ছাত্রলীগ





॥ ২ শতাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত * সড়ক বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা ॥
সহিদুল করিম বিপ্লব, রূপগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং ঢাকা বাইপাস সড়ক অবরোধ করে ৪ ঘণ্টা ধরে তা-ব চালিয়েছে। প্রথমে তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। পরে সড়কে আটকাপড়া ২ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। চালায় বাসে-বাসে লুটপাট। দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে তাদের এ তা-ব। শুধু সড়ক অবরোধই করেনি উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। তারা শীতলক্ষ্যা নদীর রূপগঞ্জ ফেরি চলাচলও বন্ধ করে দিয়ে দুর্ভোগে ফেলে মানুষকে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের তা-বের কবলে পড়ে বাইপাস সড়ক ও মহাসড়কের উভয়দিকে ১৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বাসযাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে নারী ও শিশু। উত্তেজিত নেতা-কর্মীদের সড়ক থেকে হটাতে গিয়ে তাদের তোপের মুখে পড়ে ইট-পাটকেল খেতে হয় পুলিশকেও। এ নিয়ে সেখানে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পরে লাঠিচার্জ করে বিকাল ৪টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর ১ ঘণ্টা পর ফের যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষকালে পুলিশের লাঠিপেটায় ১১ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগনেতা আনোয়ার পারভেজ টিপু, আজিম খন্দকার, আবুল কালাম, আবু সালাম, রনি, দুর্জয় ও শান্তকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় উপজেলা ছাত্রলীগের ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপু, ছাত্রলীগেনেতা হামজালা ও আবদুল্লাকে আটক করলেও ২ ঘণ্টা পর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। রূপগঞ্জের ভুলতা, গোলাকান্দাইল, সাওঘাট, আধুরিয়া, পোনাব, কেশাব, কালাদী ও কাঞ্চন এলাকায় তা-বকালে পুলিশ উত্তেজিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের শান্ত হতে বার-বার অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করেই তারা নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এর একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে হটাতে ধাওয়া করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে লাঠিপেটা করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বাইপাস সড়ক ও মহাসড়কের উভয়দিকে ১৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা পড়েন বিপাকে। ঘটনায় আতঙ্কিত বাসযাত্রীদের অনেকেই এসময় বাস থেকে নেমে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নেন। ছোটাছুটি করতে থাকেন দিগ্বিদিক।
গাজীপুরগামী ট্রাকচালক মফিজুল ইসলাম বলেন, অবরোধকারীরা যানবাহন ভাঙচুর করে চালক, হেলপার, কন্ডাক্টর ও যাত্রীদের মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল সেট লুটে নেয়। এ সময় বিপুলসংখ্যক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। তার ভাষ্য, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এরকম তা-ব এর আগে কখনও দেখেননি।
উপজেলা ছাত্রলীগের ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক খোকন আমাদের সময়কে বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর কথামতো তার পক্ষে অন্যায়, অনিয়ম না করায় তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরেই অনিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবহির্ভূতভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ছাত্রলীগের নেতাদের জড়ানো হবে বলে রূপগঞ্জ থানার ওসি হুমকি দেন। যাত্রী ও চালকদের টাকা, মোবাইল সেট লুটপাটের ঘটনা তারা অস্বীকার করেন।
নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিবুর রহমান হাছিব ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব জানান, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পুরনো কমিটি ভেঙে ৬ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান মীর জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক ও বাইপাস সড়কে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তা-ব চালায়। পরে সড়কে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
http://www.amadershomoybd.com/content/2013/09/11/middle0512.htm

Monday, September 9, 2013

বড়াইগ্রামে যুবলীগ কর্মীর রগ কাটলো ছাত্রলীগ

Wednesday, September 4, 2013

ধর্ষণ করতে এসে লিঙ্গ হারালো আওয়ামীলীগ নেতা

image_18828সোমবার ভোর চারটার দিকে নওগাঁর ধামইরহাটে এক সাহসী গৃহবধূ তাকে ধর্ষণ করতে আসা এক লম্পটের লিঙ্গ ব্লেড দিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। মারাত্মক আহত অবস্থায় ঐ লম্পটকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
উপজেলার জগদল গ্রামের রিক্সাচালক রহমত আলীর সুন্দরী স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (২২) অভিযোগ করেন যে, তার স্বামী ঢাকায় রিক্সা চালাতে গেলে বাড়ীতে একা থাকার সুবাদে ঘোনাপাড়া গ্রামের দবির উদ্দীনের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউর রহমান (৩০) তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। সুযোগ বুঝে তাছলিমা ব্লেড দিয়ে জিয়ার লিঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে। জিয়া প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বলেও জানায়। এ ব্যাপারে থানায় নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধামইরহাট থানার ওসি হেলাল উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
-বাংলাদেশ টাইমস

আশুলিয়ায় ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেফতার


সাভার (ঢাকা): আশুলিয়ার  বাইপাইল  বাসষ্ট্যান্ড এলাকার আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম মাদবরকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা  গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।



সোমবার রাত ১০ টায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।



ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিত্রির সময় মনসুর আলম মাদবকে আটক করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে ৫৩ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এছাড়া একটি নাম্বার বিহীন ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে  পুলিশ।



এবাপারে, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের ওসি শাহীন শাহ পারভেজ জানান, মনসুর আলম মাদবর মাদক বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত মনসুর আলম মাদবরের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় খুন, ধর্ষণ, চাদাবাজির ঘটনাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। - See more at: http://www.khaskhabor.com/dhaka/2013/08/20/7569#sthash.K0p8S7ku.dpuf

যুবলীগ নেতার হোটেলে দেহব্যবসা, আটক ৭৭

03 Sep, 2013
আশুলিয়ার যুবলীগের সংগাঠনিক সম্পাদক সুমন ভুইয়ার মালিকানাধীন ভবনের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৭৭জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার রাত আটটার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার যুবলীগ নেতার ভুইয়া ম্যানশনের চতুর্থতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় রোজ গার্ডেন নামক একটি আবাসিক হোটেলে এ অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় তাদেরকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে আশুলিয়ার যুবলীগ নেতা সুমন ভুইয়ার আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে ওই হোটেল থেকে ৫২ জন পুরুষ ও ২৫ জন যুবতীকে (পতিতা) আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহিন পারভেজ জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৭৭জনকে আটক করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতার কাণ্ড: চাঁদা না পেয়ে দরজা-জানালা বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে: লাখ টাকার চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে যশোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করিম ওরফে রহমান তার বাহিনী দিয়ে শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন ছাত্র হোস্টেলের দরজা-জানালা খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। বাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে সব ভাড়াটিয়াকে। গত এক সপ্তাহ আগের এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ওই বাড়িতে দফায় দফায় চালানো হয়েছে বোমা হামলা। সন্ত্রাসীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই ব্যবসায়ী ব্রেন স্ট্রোক করে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তার ছেলে-মেয়েরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে ঘটনাটি মিডিয়া কর্মীদের নজরে এলে তড়িঘড়ি করে কোতোয়ালি থানার করিৎকর্মা পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা রহমানকে আটক করেছে। যশোর শহরের সার্কিট হাউজপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী এএসএম নুরুল ইসলাম। তার স্ত্রী সালমা ইসলাম জানান, গত রোজার ঈদের ১০-১২ দিন পর রহমান, সুজনসহ ৮-১০ যুবক অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে যায় এবং নুরুল ইসলামকে ঘরের বাইরে ডেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। নুরুল ইসলাম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তাকে মারপিট করে বাড়ির সামনে ফেলে চলে যায়। ওই দিন রাত দেড়টার দিকে নুরুল ইসলাম ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হলেও তার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।
এই অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা রহমান তার ক্যাডারদের নিয়ে নূরুল ইসলামের মালিকানাধীন ছাত্র হোস্টেলের ৯টি জানালা ও ১০টি দরজা খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নুরুল ইসলামের চারতলা আরেকটি বাড়ি থেকে সব ভাড়াটিয়াকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছে। ফলে ওই পরিবারটির আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। নিজেদের বাড়িতে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘরের নিচতলার একটি ঘরে জানালা-দরজা বন্ধ করে কোন রকমে বেঁচে আছেন নুরুল ইসলামের স্ত্রী সালমা ইসলাম ও তার সন্তানরা। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলের লেখাপড়াও বন্ধ করে দিয়েছে রহমান বাহিনীর ক্যাডাররা। তারা হুঙ্কার দিয়ে জানিয়েছে, কেউ বাড়ির বাইরে বের হলে এসিড মেরে তাদের চোখ মুখ ঝলসে দেয়া হবে। ভয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেন সালমা ইসলাম। এব্যাপারে গতকাল বুধবার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। মুহূর্তে ঘটনাটি চাউর হয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। মিডিয়া কর্মীরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। এলাকাবাসী জানান, সন্ত্রাসী রহমান বাহিনীর অত্যাচারে এলাকায় কারও টুঁ- শব্দটি করার উপায় নেই। তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কেউ বাড়িঘর নির্মাণ করা তো দূরের কথা ইট-বালি পর্যন্ত ফেলতে পারে না। ছেলেমেয়ের বিয়ে দিতে হলেও এই বাহিনীকে চাঁদা না দিয়ে পার পাওয়ার উপায় নেই। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, কে ছাত্রলীগ নেতা আর কে যুবলীগ নেতা তা বড় বিষয় নয়। যে অপরাধ করবে তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দলের বা পদের নাম ভাঙ্গিয়ে যে বা যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, চাঁদাবাজি করছে, মানুষকে জিম্মি করে তাদের সর্বস্ব লুট করছে, তাদের কোন আদর্শ নেই। এসব অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এমদাদুল হক শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতা রহমানের নামে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন সাব ইন্সপেক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে এই রিপোর্ট লেখার সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রহমানকে কোতোয়ালি পুলিশ আটক করেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন- এটা পুলিশের আইওয়াশ। ক’দিন পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ সাংবাদিকরা ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় করায় পুলিশের টনক নড়েছে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে এর আগেও এলাকার বহু মানুষ লিখিত অভিযোগ করলেও ক্ষমতাসীন হওয়ার কারণে পুলিশ কোন অ্যাকশনে যায়নি। উপরন্তু দিনের বেশির ভাগ সময় কোতোয়ালি থানার একাধিক দারোগাকে রহমান ও তার ক্যাডারদের সঙ্গে এম এম কলেজ ও এর আশপাশে সার্বক্ষণিক আড্ডা মারতে দেখা গেছে। অনেকে অভিযোগ করেন, রহমান একজন মাদকসেবী। সে নিয়মিত ফেনসিডিল সেবন করে। তার ডেরায় বসে অনেককে ফেনসিডিল সেবনসহ স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের টিজ করতে দেখা যায়। এদিকে বাহিনী প্রধান রহমান আটকের খবরে গতকাল বিকালে সরকারি এম এম কলেজ, সার্কিট হাউজপাড়া ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা মিষ্টি বিতরণ করেন। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের পুরাতন হল শাখা ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা রহমানকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রলীগ নেতা রহমানকে গতকাল বিকালেই ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সেখানে এসপি জয়দেব কুমার ভদ্রসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। ডিবি’র ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, রহমান যে ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পিছনে কার ইন্ধন ছিল বা কার জোরে সে এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখিয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই তাকে গোয়েন্দা পুলিশের  হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

Sunday, September 1, 2013

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান খুন

ময়মনসিংহ ব্যুরো
নতুন বার্তা ডটকম
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরকান উদ্দিন সেলিম নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেল চারটার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত সেলিম, তার দুই ভাই মজনু ও টিপুকে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিমের সমর্থকদের সঙ্গে গামারী তলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হকের সমর্থকদের হাতাহাতি হয়।

ধোবাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, “এর জের ধরে বিকেল চারটার দিকে আজিজুল হকের সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়। পরে সেলিমের সমর্থকরাও সেদিকে রওয়ানা দেন।”

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে ধোবাউড়া উপজেলা সদরে রোববার ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই দাইরপাড়া এলাকায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে ধোবাউড়া থানার ওসি আব্দুল হক জানিয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
http://www.natunbarta.com/outside-dhaka/2013/09/01/42801/fd1f44e52b86020524540af90641fa86

নলছিটিতে যুবলীগ নেতার রগ কেটে দিয়েছে যুবলীগকর্মীরা


ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মামুন হোসেনকে (৩৫) কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে একই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ রবিবার দুপুরে নলছিটি পৌরসভা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় মামুনকে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মামুন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

এ ব্যাপারে আহত মামুন জানান, রবিবার দুপুরে তিনি পৌরসভা কার্যালয়ে পৌঁছালে উপজেলা যুবলীগের ৭/৮ জন নেতা-কর্মী তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা তাকে কুপিয়ে তার ডান পায়ের রগ কেটে দেন। এরপরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা তাকে আবারো মারধর ও কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এই ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অবস্থার অবনতি হলে পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নলছিটি থানার ওসি এজেডএম মাসুদুজ্জামান জানান, মামুনকে মারধরের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।