Monday, August 26, 2013

বগুড়ায় জঙ্গি ‘আশ্রয়দাতা’ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে: বগুড়ায় জঙ্গি আস্তানা ভাড়া দেয়া আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা দুলালকে নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেনের বাড়ি থেকে অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্রসহ ৩ জঙ্গি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুলাল গাঢাকা দিয়েছিলেন। রোববার গভীর রাতে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর দুলাল নিজেও আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে দাবি করেছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়। দুলালের স্ত্রী নাদিরা বেগম ও কয়েক জন আওয়ামী লীগ নেতা নিশ্চিত করেন দুলাল আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা।
এদিকে বগুড়ার রহস্যময় ‘দেওয়ান বাড়ি’ থেকে ভারি অস্ত্রসহ ৩ জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। ওই বাড়িকে ঘিরে এলাকায় নানা মানুষের মুখে নানা কথা শুরু হয়েছে। ঠনঠনিয়া এলাকার ওই বাড়িতে আগেও অবৈধ জিনিসের কারবার হয়েছিল। ঘটনাগুলো এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম জানান, দুলাল হোসেনের ‘দেওয়ান বাড়ি’ থেকে আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ ভিওপি’র সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছিল। ওই বাসার এক ভাড়াটিয়া নিজেদের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে অবৈধ ফেনসিডিল ব্যবসার কথা ফাঁস করে দিলে ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র চলে যায়। বারবার একই বাড়িতে এ ধরনের ঘটনার পরেও বাড়ির মালিক বাড়ি ভাড়া দিতে খোঁজখবর কেন নেয়নি- এটা একটা রহস্য। অথচ, ওই বাড়ি থেকেই আবারও তিন জঙ্গিসহ অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্র উদ্ধার হলো।
আরেক প্রতিবেশী জানান, রহস্যময় ওই বাড়িতে কোন ভাড়াটিয়া এলেই প্রতিবেশীদের মনে নানা কৌতূহল জাগে। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও। সেই সূত্র ধরেই হয়তো বা খোঁজ করতে এসে বড় ধরনের জঙ্গি আস্তানা আবিষ্কার সহ অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
দুলাল বগুড়া শহরে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। সেই সুবাদেই জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থেকে আসা দুলাল হঠাৎ করেই রহস্যজনক ভাবে কোটিপতি হয়ে পড়েন। জঙ্গিরা তার ভাড়া দেয়া বাসা থেকে গ্রেপ্তারের আগে সেখানে কয়েকদিন মোটরসাইকেল যোগে কিছু যুবক এসেছিল। তারা কারা পুলিশ সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে।

তুহিনের রগ কাটার পেছনে জড়িত পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতারা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে স্থান না পাওয়া নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তহিদ আল হাসান তুহিনের উপর হামলা চালিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে  দেয় ছাত্রশিবির। গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রশিবির নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। 


বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি নোমানি হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই তাদের মূল ট্রার্গেট বলেও জানায় মাসুম।

শনিবার রাতে উপশহর এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মহানগর পূর্ব জোন ছাত্রশিবিরের ক্রিড়া সম্পাদক ও তাদের অপারেশন কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। রোববার দুপুরে আরএমপি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তাকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নোমানি হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের মূল টার্গেট ছাত্রশিবিরের। তবে গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে তুহিন অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এর পর থেকে তুহিন তাদের টার্গেটে আসে।

প্রসংগত অস্ত্রসহ তুহিনের এ হামলার ছবি সেসময় প্রায় সকল পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হয়।

মাসুম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্প্রতি যে কমিটি হয়েছে সেখানে পদ বঞ্চিত সাত নেতার উস্কানি ও প্ররোচনায় তুহিনের উপর হামলা চালানো হয়। হামলার পর ক্যাম্পাস থেকে তাদের নিরাপদে বের করে দেয়ার শর্তে তারা সহযোগিতা দেয়।


গ্রেপ্তার শিবির ক্যাডার মাসুমের বাড়ি নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায়। সে ঢাকা প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসির দিতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০০৭ সালে রাজশাহী পলিটেনিকে ভর্তি হওয়ার পর সে ছাত্রশিবিরে যোগ দেয়।
http://tazakhobor.com/bangla/education/9762-2013-08-25-13-36-14

বগুড়ায় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের ছয় জন আটক

bogra ছাত্রলীগ
বগুড়া সংবাদ ডট কম ডেস্ক: বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতার ছাত্রাবাস থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এসময় ছাত্রবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় র‌্যাব-১২ বগুড়া বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা এই অভিযান চালায়।জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ বগুড়া বিশেষ ক্যাম্পের স্কট কমান্ডার এএসপি আবু সাঈদের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল শহরের সবুজ বাগ এলাকায় তাপসী রাবেয়া স্কুলের পার্শ্বে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি জুলফিকার রহমান শান্তর ছাত্রবাসে অভিযান চালায়। র‌্যাব সদস্যরা ছাত্রবাসের সব কটি কক্ষ তল্লাশি চালায়। এসময় ৪টি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় ৯টি বড় রামদা, ৪টি চাকু, ১১টি লোহার পাইপ এবং ১৫টি আড়াই ফুট লম্বা লোহার রড। এসময় ওই কক্ষগুলো থেকে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে পিন্টু (২৫), ইমরান (১৯), মাহবুব (২৪), সাগর (২৬), মানিক (২৪) এবং হাসান (২২). গ্রেফতারকৃতরা শহর ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানায়।
http://bograsangbad.com/5993?fb_comment_id=fbc_206094182884807_609231_206127259548166#f3881582f

গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ কর্মী আটক

গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ কর্মী আটক
:: মিরসরাই প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সোমবার ছাত্রলীগের ৪ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, জোরারগঞ্জ থানার জামালপুর গ্রামের মাসুদ (২৪), শহিদুল ইসলাম (২৮), রেজাউল করিম প্রকাশ (২২) ও ফজলুল করিম (২৪)।
ওই তরুণী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, অভিযুক্ত ৪ যুবককে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার রুপনগর গ্রামের চট্টগ্রাম জজ কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক পিপির মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় অন্যত্র। বিয়েতে মত না থাকায় শনিবার গায়ে হলুদের দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় ওই তরুণী। পরে বারইয়ারহাটে এসে বখাটেদের খপ্পরে পড়ে সে। জামালপুর এলাকার একটি নির্জন স্থানে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে ১২/১৫ জন বখাটে রাতভর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে রোববার জোরাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক (একাংশ) মাঈনুর ইসলাম রানা জানান, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে। ধর্ষণকারীরা ছাত্রলীগের কেউ হলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তিনি ধর্ষণকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
ধর্ষণকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয় দাবি করে হিঙ্গুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বলেন,“দুর্বৃত্তরা অপকর্ম করে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।”