Thursday, October 10, 2013

ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির মুখে ঢাবির মুহসীন হলের ১৯ দোকান বন্ধ

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আখেরি চাঁদাবাজির কারণে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ১৯টি দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ছাত্ররা। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তারা একযোগে দোকান বন্ধ করে দেন। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হল প্রভোস্ট চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। কয়েকজন দোকানদার সাংবাদিকদের বলেন, হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরেই তাদের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছেন। প্রথমআলো 

ঈদের আগ মুহূর্তে চাঁদা দিতে গেলে তাদের নিজেদেরই ঈদ মাটি হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে কারা চাঁদা চেয়েছেন, সে বিষয়ে দোকানদারেরা মুখ খুলতে রাজি হননি। শিক্ষার্থীরা জানান, মুহসীন হলে ১৯টি দোকান রয়েছে। সেখান থেকে তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনেন এবং বিভিন্ন সময় নাশতা করেন। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই হলের ক্যানটিন ও মেস বন্ধ হয়ে গেছে। তার ওপর দোকানও বন্ধ হয় গেলে চরম বিপাকে পড়বেন তারা। হলের প্রভোস্ট আলী আক্কাস বলেন, দোকানদারেরা এমন অভিযোগ করেছে। কিন্তু কারা চাঁদা চেয়েছে সে বিষয়ে তারা মুখ খুলছে না। বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়েছে। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা চাঁদা চেয়েছে তা খুঁজে বের করা হবে। প্রভোস্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের শেষ সময়ে এরা যে কেন এমন কাণ্ড করে, তা বুঝি না। হল প্রভোস্ট বলেন, দোকানগুলো খোলে দেয়া হবে। চাঁদা চাওয়ায় হলের খাবারের দোকান বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সারা দিনই ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

No comments:

Post a Comment