ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস : নেপথ্যে ছাত্রলীগ
08 Nov, 2013
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগে এটি গুজব হিসেবে শোনা গেলেও পরীক্ষার পর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাটি সত্য বলে জানা গেছে।
এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে জালিয়াতচক্র হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
জানা গেছে, মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা, ব্লুটুথ ও বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েকটি চক্রটি এ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরুর পর বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে অনেককেই প্রশ্নপত্র সমাধান করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট ২৯ পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা ক্ষুদ্র ব্লুটুথে উত্তরপত্র সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে কোনো সন্দেহ নেই। বোরহানউদ্দিন কলেজ থেকে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার ১০টায় রাজধানীর ৭১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ২ হাজার ২৯৬ আসনের বিপরীতে মোট ৩৮ হাজার ৭৬৮জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়।
তবে পরীক্ষার শুরুর প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি সূত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজের (দক্ষিণ ছাত্রাবাস) নেতৃত্বে দক্ষিণায়ন হলের কাওছার (ব্যবস্থাপনা, চতুর্থ বর্ষ) ও মামুন (ব্যবস্থাপনা চতুর্থ বর্ষ) চুক্তিবদ্ধ এক পরীক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসে।
যা দক্ষিণায়ন ছাত্রবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে বসে সমাধান করা হয়। সেখান থেকেই বু্লটুথের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়। ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এইচ পল্লব টাকার বিনিময়ে তাদের সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জালিয়াতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শুভ’র নেতৃত্বে একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশি মোড়ে এ চক্রের সাথে ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির চুক্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, বোরহানউদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তার মোবাইল জব্দ করে। প্রশাসনের হাতে থাকা সেই ফোনে পরীক্ষা শুরুর পর ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে আসে।
বোরহানউদ্দিন কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের জন্য অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাদেরকে লোভ দেখিয়েছে। তবে কাউকে প্রবেশ করতে দেননি তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে দীর্ঘদিন ধরেই কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি ও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ডিবিকে চক্রের মোবাইল নম্বরসহ দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তারা চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, জালিয়াতি চক্র আগেও সক্রিয় ছিল। এখনও সক্রিয় রয়েছে। তবে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত এ প্রক্টর।
গত পহেলা নভেম্বর সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন জালিয়াতির অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করলেও জালিয়াতির চক্রের কাউকেই আটক করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়াও ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিএড সম্মান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এ পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল। এর দুই সেটের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম নিউ মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
তৎকালীন প্রক্টর কেএম সাইফুল ইসলাম খান ওই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন আখ্যা দিলেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি।
কলা অনুষদ ডিন ও ‘খ’ ইউনিট পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ‘খ’ ইউনিটে ঘটেনি। তাই পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে যদি টাকায় প্রশ্ন পাওয়া যায় তখন প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলা যায়। তবে ঢাবির ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটেনি
এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে জালিয়াতচক্র হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
জানা গেছে, মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা, ব্লুটুথ ও বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েকটি চক্রটি এ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরুর পর বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে অনেককেই প্রশ্নপত্র সমাধান করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট ২৯ পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা ক্ষুদ্র ব্লুটুথে উত্তরপত্র সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে কোনো সন্দেহ নেই। বোরহানউদ্দিন কলেজ থেকে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার ১০টায় রাজধানীর ৭১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ২ হাজার ২৯৬ আসনের বিপরীতে মোট ৩৮ হাজার ৭৬৮জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়।
তবে পরীক্ষার শুরুর প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি সূত্র জানায়, পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজের (দক্ষিণ ছাত্রাবাস) নেতৃত্বে দক্ষিণায়ন হলের কাওছার (ব্যবস্থাপনা, চতুর্থ বর্ষ) ও মামুন (ব্যবস্থাপনা চতুর্থ বর্ষ) চুক্তিবদ্ধ এক পরীক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসে।
যা দক্ষিণায়ন ছাত্রবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে বসে সমাধান করা হয়। সেখান থেকেই বু্লটুথের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়। ঘটনায় ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এইচ পল্লব টাকার বিনিময়ে তাদের সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জালিয়াতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শুভ’র নেতৃত্বে একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশি মোড়ে এ চক্রের সাথে ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থী মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির চুক্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, বোরহানউদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তার মোবাইল জব্দ করে। প্রশাসনের হাতে থাকা সেই ফোনে পরীক্ষা শুরুর পর ভর্তি পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে আসে।
বোরহানউদ্দিন কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের জন্য অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাদেরকে লোভ দেখিয়েছে। তবে কাউকে প্রবেশ করতে দেননি তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে দীর্ঘদিন ধরেই কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি ও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ডিবিকে চক্রের মোবাইল নম্বরসহ দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তারা চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, জালিয়াতি চক্র আগেও সক্রিয় ছিল। এখনও সক্রিয় রয়েছে। তবে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত এ প্রক্টর।
গত পহেলা নভেম্বর সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন জালিয়াতির অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করলেও জালিয়াতির চক্রের কাউকেই আটক করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এছাড়াও ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিএড সম্মান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এ পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল। এর দুই সেটের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম নিউ মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
তৎকালীন প্রক্টর কেএম সাইফুল ইসলাম খান ওই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন আখ্যা দিলেও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি।
কলা অনুষদ ডিন ও ‘খ’ ইউনিট পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি দাবি করে বলেন, ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ‘খ’ ইউনিটে ঘটেনি। তাই পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে যদি টাকায় প্রশ্ন পাওয়া যায় তখন প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলা যায়। তবে ঢাবির ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটেনি
No comments:
Post a Comment