বছর তিনেক আগে আফিয়ার প্রেমে পড়ে সুমন। ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় অনেকটা প্রভাব খাটিয়ে স্বামীর বাড়িতেই আফিয়ার সঙ্গে অবাধে মেলামেশায় মত্ত হতো সে। কিন্তু তাদের এ কাণ্ড অনেকটা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এরপরও সুমন ও আফিয়ার গোপন অভিসার চলতে থাকে অবাধে। স্বামী নজরুল শ্রমিক হওয়ায় কোন প্রতিবাদ করতো না। কিন্তু মাস খানেক আগে চার সন্তান ও স্বামীকে রেখে সুমনের হাত ধরে ঘর ছাড়ে আফিয়া বেগম। সুমনও তাকে নিয়ে আসে সিলেট শহরে। নগরীর মীরাবাজারের একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক মাস ধরে তারা বসবাস করছিল। কিন্তু বাদ সাধে মীরাবাজার এলাকার মানুষ। তারা সুমন ও আফিয়ার অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জেনে ফেলে। আর সুমনকে ওই বাসায় না যেতে নিষেধ করে দেয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সুমনের কোন খোঁজ নেই আফিয়ার কাছে। মোবাইল ফোনও রিসিভ করছে না। এ কারণে আফিয়া বের হন সুমনের সন্ধানে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর সদরের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে পেয়ে যান সুমনকে। এ সময় সুমনকে জাপটে ধরে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। এ সময় সুমন নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়াতে থাকে। কিন্তু স্থানীয় জনতা পিছু ধাওয়া করে তাকে আটক করে জৈন্তাপুর থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আফিয়া বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানান সুমনের সঙ্গে তার পরকীয়ার ঘটনা। তবে, সুমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আফিয়ার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই বলেও জানায়। তবে, জৈন্তাপুর থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, দু’জনকে থানায় নিয়ে আসার পর সুমন পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে, সুমন একবার বলছে বিয়ে করেছে, আবার বলছে করেনি। তবে, আফিয়ার দাবি তাকে বিয়ে করতে হবে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে স্ত্রীর মতো মিশেছে। ওসি জানান, যদি আফিয়া মামলা করে তাহলে গ্রহণ করা হবে। কোন অনুরোধ এখানে রক্ষা করা যাবে না বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সুমন এভাবে অনেক মেয়েকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নষ্ট করেছে। তারা সুমন ধরের শাস্তি দাবি করেন।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=+NjYz&s=Mw%3D%3D#.UpZuh8gTplo.facebook
No comments:
Post a Comment