Thursday, January 2, 2014

ঢাবিতে নিজ দলের নেতাকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া হল শাখার ছাত্রলীগের এক নেতাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স ও তার অনুসারীরা। ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম আবদুল আলিম। সে হল ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিল। বুধবার গভীর রাতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আলিমকে বেধড়ক মারধরের পর হল থেকে বের করে দেয়া হয়। গত অক্টোবরে জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে হল সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদ দেয় আলিমকে। এরপর থেকেই আলিম ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে সে সক্রিয় ছিল।
সমপ্রতি হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাজনৈতিক আদর্শ বিএনপি সংযোজন করে। এটি আলিম দেখতে পেয়ে হলের ক্রীড়া সম্পাদক মামুনকে জানায়। মামুন বিষয়টি প্রিন্সকে অবহিত করে। প্রিন্স ছাত্রদলের নেতা সজীবকে কল দিয়ে সোহাগ ছাত্রদল করে কিনা জানতে চাইলে করে না বলে জানানো হয়। পরে রাত ১টার দিকে প্রিন্স তার কক্ষে ডেকে পাঠায় আলিমকে। এ সময় প্রিন্সের কক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক বনী ইয়ামিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন, ক্রীড়া সম্পাদক মামুন, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল ও সোহাগ ছিল। আলিমের কাছে সোহাগ ছাত্রদলের কর্মী এ বিষয়ে প্রমাণ চায় প্রিন্স। আলিম তাৎক্ষণিক কোন প্রমাণ দিতে পারবে না বলে জানায়। অভিযুক্ত সোহাগ তখন আলিমকে ছাত্রদলের কর্মী বলে উল্লেখ করে। এতে প্রিন্স ক্ষুব্ধ হয়ে আলিমকে মারধর শুরু করে। এতে আলিমের নাক থেঁতলে যায় এবং রক্ত ঝরতে থাকে। পরে প্রিন্স বাধ্যতামূলক অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে অনিয়মকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এ বিষয়ে আলিম বলে, আমি হলে জাহিদ ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করতাম। পরে প্রিন্স ভাই হলে পদ পেলে তার সঙ্গে যোগ দিই। হলের ছাত্রলীগকর্মী সোহাগ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এ কথা বলায় তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন। 
হলে পদ থাকার পরও আমার কথার কোন মূল্যায়ন না করেই সোহাগের কথা বিশ্বাস করে তিনি আমাকে জোর করে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন এবং হল থেকে বের করে দেন। তবে হল সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আলিম হলের কিছু সিনিয়রের সঙ্গে বেয়াদবি করায় তাকে রুমে ডেকে সাবধান করে দিয়েছি। তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়নি, তবে সে কোথায় আছে আমি জানি না। উল্লেখ্য, প্রিন্স এর আগে হল থেকে শিক্ষার্থীদের ছাত্রদল-শিবির অভিযোগ বের করে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার সন্ধ্যায় রিঙ্কু নামে ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেয় প্রিন্স ও তার অনুসারীরা। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চাঁদাবাজি এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায়ও তার নাম উঠে এসেছে।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=NTQzMg==&s=Ng==

No comments:

Post a Comment